লিহান লিমা: [২]লিথুয়ানিয়ার রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া বেলারুশের বিরোধী দলীয় নেত্রী শ্বেতলানা তিখানোভস্কায়ার সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এই সময় শ্বেতলানাকে বেলারুশের জনগণের জন্য ইউরোপিয় সমর্থন দেয়ার আশ্বাস ব্যক্ত করেছেন তিনি।শ্বেতলানাকে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ভাষণ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান ম্যাক্রোঁ।রয়টার্স
[৩]গত প্রায় দেড় মাস ধরে বেলারুশে একনায়ক প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। ৯ আগস্টের বিতর্কিত নির্বাচনে তিনি ৮০ শতাংশ ভোট পাওয়ার দাবী করেছেন। বিরোধী দল বলছে নির্বাচনে কারচুপিও জালিয়াতি করা হয়েছে। বেলারুশের কর্তৃপক্ষ ৮ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। বন্দিশালায় তাদের মারধর ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার ও নির্বাসন দেয়া হয়েছে প্রায় সব প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা-নেত্রীকে।
[৪]নির্বাচনের পরপরই প্রতিবেশি লিথুয়ানিয়ায় আশ্রয় নেন শ্বেতলানা। এখন পর্যন্ত লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড ও নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন শ্বেতলানা। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে কোনো প্রভাবশালী নেতা হিসেবে এদিন শ্বেতলানার সঙ্গে ভিলিনিউসের হোটেলে ৪৫ মিনিটের বৈঠক করেন ম্যাক্রোঁ। বৈঠকের পর ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমরা খুব কার্যকরী আলোচন করেছি কিন্তু আমাদের এখন কর্মতৎপর হতে হবে এবং বেলারুশের জনগণকে সহায়তা করতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।’ এই সময় ম্যাক্রোঁ বেলারুশের কর্তৃপক্ষকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার বন্ধ, বিক্ষোভকারীদের মুক্ত এবং নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
[৫]শ্বেতলানা বলেছেন, ‘বেলারুশের রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ম্যাক্রোঁ সবকিছু করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্ত করতে তিনি সব ধরণের সহায়তা করবেন।’
[৬]যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন লুকাশেঙ্কোকে স্বীকৃতি না দেয়ার কথা স্পষ্ট করলেও তার মিত্র রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার ওপর অবিচ্ছিন্ন সমর্থন দেয়ার কথা ব্যক্ত করেছেন। তবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন বেলারুশের ৪০জন প্রধান নেতার সম্পদ জব্দ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রস্তাব পাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সাইপ্রাস ভেটো দেয়ায় ইইউ’র এই প্রচেষ্টা বন্ধ হয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :