কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] মঙ্গলবার ষষ্ঠ বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) ভার্চ্যুয়াল বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, [২] সামান্য পেঁয়াজ আমাদের সোনালী অধ্যায়কে প্রভাবিত করেছে।
[৩] বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পাওয়ার প্ল্যান্ট, সীমান্ত হত্যা, নদী, ভারতের ক্রেডিট লাইন, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, সন্ত্রসাবাদ প্রতিরোধ, ব্যবসা-বাণিজ্যর বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে।
[৪] বিশেষ করে এয়ার বাবল ও বন্ধ থাকা উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আমরা ভারতকে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছি। ঐতিহাসিক মুজিবনগর-কলকাতা সড়ক পুনরায় চালু করা হবে।
[৫] বাংলাদেশ-ভারত সোনালী অধ্যায়ের মধ্যে সীমান্ত হত্যা অগ্রহণযোগ্য। যেখানে বেশি হত্যাকাণ্ড হয় সেখানে উভয় দেশের সীমান্ত বাহিনীর যৌথ টহলের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
[৬] ভারতের ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপে এলেই পাবে বাংলাদেশ। চীন, রাশিয়াসহ যে দেশগুলোই ভ্যাকসিন নিয়ে আসুক শুরুতেই পাওয়ার চেস্টা আমাদের রয়েছে।
[৭] ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর পর্যায়ে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হবে।
[৮] বৈঠক সূত্র জানায়, উভয় পক্ষই সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পঞ্চাশতম বার্ষিকী উদযাপন করতে সম্মত হয়েছে।
[৯] বিজয় এবং বন্ধুত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে ওয়েবসাইট চালু, দুই পক্ষই বঙ্গবন্ধু ও গান্ধীকে নিয়ে ডিজিটাল জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে।
[১০] ভারত সরকার ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে একটি স্মারক স্ট্যাম্প অবমুক্ত করবে।
[১১] সৌদি প্রবাসী কর্মীদের প্রসংঙ্গে তিনি বলেন, অনেকের নিয়োগকর্তা তাদের ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে না। এ বিষয়ে কি করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
[১২] বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এসময় মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করবেন উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :