রাশিদুল ইসলাম : [২] গালওয়ানের সংঘর্ষের পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিমান নামিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। এয়ার চিফ মার্শাল ভাদুরিয়া জানিয়েছেন, জুন মাসে হট স্প্রিংয়ের কাছে দুই দেশের বাহিনী মুখোমুখি সংঘাতে জড়ানোর পরেই চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পাঠানো হয় বিমানবাহিনীকে। আকাশযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে তার জন্য সবরকমভাবে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] মুখোমুখি দুই দেশের বাহিনীই তাদের সামরিক শক্তি নিয়ে তৈরি। এমনটাই জানান ভাদুরিয়া। বলেন ভারতীয় সেনাবাহিনী সবসময়েই পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে শান্তির পথে যেতে তৈরি, কিন্তু চীনা সেনার কোনও রকম আগ্রাসনও মেনে নেওয়া হবে না।
[৪] এর পাশাপাশি, ভারতের ফরওয়ার্ড বিমানসেনাঘাঁটিগুলোতেও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। কোনওভাবে চীনের ফাইটার জেট ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঢুকে এলে যাতে কঠোর মোকাবেলা করা যায় তার জন্যই কমব্যাট ফাইটার জেটগুলোকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
[৫] একই সঙ্গে ইসরায়েলি হেরন ড্রোনের প্রযুক্তিতে বদল আনছে ভারত, সীমান্তে নামানো হচ্ছে আক্রমণাত্মক রিপার ড্রোন। কারণ হেরন ড্রোনের আপগ্রেড করলে সেটি স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনেও সাহায্য করবে। শীতের সময় দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে খবরপ্রদানে কাজে লাগবে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমকিউ-৯বি স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন চাচ্ছে ভারত।
[৬] এধরনের মার্কিনী ঘাতক ড্রোন উঁচু পাহাড়ি এলাকায় নজরদারি চালানো এবং দুর্গম এলাকায় অতর্কিতে শত্রুঘাঁটির উপরে হামলা চালাতে পারে নিখুঁতভাবে। প্রতিপক্ষ টের পাওয়ার আগেই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে।