নূর মোহাম্মদ: [২] তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারকে ঘটনার তদন্ত করতে বলা হয়েছে। আর সিলেটের ডিসি ও পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের সময় সবার নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
[৩] ঘটনার শিকার নববধূ, মামলার বাদী, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপার, ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীসহ সবার জবানবন্দি নিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। এছাড়া আদালতের আদেশের অনুলিপি আজকের মধ্যে তদন্ত কমিটির কাছে পৌঁছাতে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[৪] মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে গণধর্ষণের শিকার তরুণীকে রক্ষায় অবহেলা ও অছাত্রদের কলেজে অবস্থান বিষয়ে নীরবতার জন্য অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
[৫] শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপারসহ সংশ্লিষ্টদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাইকোর্ট আগামী ১৮ অক্টোবর এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
[৬] এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.মেসবাহ উদ্দিন বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। শুনানিতে আদালত বলেন, এই ঘটনা পুরো জাতিকে লজ্জিত করেছে। সন্ধ্যায় ঘটনার পর পরই অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপার রাত সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সেখানে অপরাধীদের মদদ দেওয়া হয়েছে এবং পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়েছে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে আসলেও অধ্যক্ষ ৩ ঘণ্টা পর তাদেরকে ভেতরে যাবার অনুমতি দেন। দুইজন প্রহরীকে বরখাস্ত করা আইওয়াশ। এসব করে দায় এড়ানো যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :