ভূঁইয়া আশিক : এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, [২] ধর্ষণ পাকিস্তানের ঐতিহ্য, ধর্ষকেরা এদেশে পাকিস্তানি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
[৩] এই মুহূর্তে শাসনহীন বাংলাদেশে নৈতিক এবং মানসিকভাবে বিকৃত মানুষেরা ধর্ষণের মহামারি শুরু করেছে। সরকারের জন্য তা অশনি ও সতর্ক সংকেত। ধর্ষকদের বিষয়ে সরকার সতর্ক হবে কিনা তা ভবিষ্যৎই বলবে।
[৪] ধর্ষকেরা মানসিকভাবে বিকৃত। তাদের মানসিক চিকিৎসা দরকার। [৬] দেশে কোনো শাসন নেই। শাসন থাকলে মানুষের মনে আইনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধা থাকতো, যা এখন যথেষ্ট অভাব।
[৫] দেশের রাজনীতি পচে গেছে। কারণ ধর্ষকেরা ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবে নিজেদের প্রচার করে। দলও যে নষ্ট হয়ে গেছে, ভেতর থেকে পচে গেছেÑ তারই বড় প্রমাণ ধর্ষক ছাত্রলীগ।
[৬] আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগকে সামলাতে চায় কিনা তা আমার প্রশ্ন। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগকে সামলানোর জন্য অনেক সময় বহু আদেশ-নির্দেশ দিয়েছিলেন। বর্তমানে যা আমরা দেখতে পাচ্ছি না বললেই চলে।
[৭] আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে যারা ছাত্রলীগে আছে, তাদের সিংহভাগই ছাত্র নয়। ছাত্রলীগের মধ্যে ছাত্র নেই, লীগও নেই। কিন্তু জেনেও বিশেষ প্রয়োজনে তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়। যদিও প্রতিটি অপরাধের পর সরকার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বলেন যে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীর কোনো দল নেই। কিন্তু বাস্তবের সত্যটি অন্য রকম।
আপনার মতামত লিখুন :