লাইজুল ইসলাম : [২] অতিমারি করোনাভাইরাসের কারনে এতদিন সিঙ্গপুরে প্রবেশ নিষেধ ছিলো। তবে অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল হবে। সেখানে যেতে পারবেন বাংলাদেশীরা। প্রবাসী শ্রমিক, চিকিৎসাপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
[৩] সিঙ্গাপুর সিভিল অ্যাভিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ফ্লাইটের টিকিট কেনার পূর্বশর্ত হিসেবে প্রবাসী শ্রমিকদের এজেন্সি বা স্পন্সরের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের (এমওএম) কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিতে হবে।
[৪] সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর বাদ্ধতামূলক ভাবে নিজ খরচে ১৪ দিনের জন্য একটি হোটেলে আইসোলেশনে থাকতে হবে। আনুমানিক ২২০০ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার খরচ হবে। আইসোলেশনের জন্য বাংলাদেশ থেকে হোটেল বুকিং করে যেতে হবে। প্রবাসীদের অভিযোগ, এতে খরচ হবে বাংলাদেশি ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
[৫] সিঙ্গাপুরগামীদের ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে ‘নেগেটিভ’ সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে সিঙ্গাপুর পৌঁছে আবারও নিজ খরচে কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে।
[৬] সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. তৌহেদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান,বাদ্ধতামূলক আইসোলেশন। সিঙ্গপুরের সরকার এটি কিছু প্রতিষ্ঠান ও হোটেলকে দায়িত্ব দিয়েছে। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীকে আইসোলেশন করতে হয়েছে। এতে কিছুই করার নেই।
[৭] এদিকে বাংলাদেশের নাগরিকরা চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি এজেন্টের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল সার্টিফিকেট বা অনুমতিপত্র লাগবে।
[৮] সিঙ্গাপুরে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফেরার আগে বাংলাদেশ থেকেই সিঙ্গাপুরের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :