সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : [২] সোমবার বেলা ১১ টায় তাদের এই বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। তারা এ সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সকল ডাক্তারকে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় তারা হাসপাতালের কম্পিউটারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাংচুর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
[৩] ইন্টার্ন ডাক্তারদের পক্ষে মোঃ রফিকুল ইসলাম ও আমিনুর রহমান জানান, ২০১৪-১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালে এতদিনেও জরুরি বিভাগ চালু করা হয়নি। যার ফলে ইন্টার্ন শেষ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে অনেক কিছু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া সাতক্ষীরার ২২ লক্ষ মানুষ জরুরি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই দাবি নিয়ে তারা বারবার দেন দরবার করেও কোন ফল পাননি। তবে, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ভাংচুরের বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন।
[৪] হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি জরুরি বিভাগ চালুর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বারবার লেখালেখি করছেন। কিন্তু ডাক্তার ও অন্যান্য জনবল সংকট থাকার কারনে জরুরি বিভাগ চালু করা যাচ্ছে না। ইন্টার্ন ডাক্তাররা হাসপাতালের সকল কর্মচারীকে গেটের বাইরে বের করে দিয়ে কলাপসিবল গেট আটকে দেন। এসময় তারা বিক্ষোভ ও অবরোধ বহাল রাখেন। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান ও পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে ইন্টার্ন ডাক্তারদের শান্ত করেন। পরে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
[৫] এদিকে, এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক এবং ইন্টার্ন ডাক্তারদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে এক সভা আহবান করা হয়েছে। সে সময় বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :