শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৪০ দুপুর
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান: মহাকালের জনসভায় জননেত্রী শেখ হাসিনা

মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান: আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। এ সময় আমাদের স্কুল মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। তখন তিনি সরকারে না, সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তার চেয়ে বড় পরিচয় তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। যিনি পচাত্তরের পনেরো আগস্টে একমাত্র বোন ছাড়া পরিবারের আত্মীয়-স্বজন সবাইকে হারিয়ে বুকভরা ব্যাথা নিয়ে অসীম সাহসে গণমানুষের মুক্তির দূত হিসেবে শোকার্ত বাংলাদেশের ব্যাথাতুর মানচিত্রের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছিলেন।

অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এক কণ্ঠস্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি জনতার দুঃখের সাথী। তিনি কারো কাছে আপা, কারো কাছে শেখের সাহেবের বেটি, শিক্ষিতদের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যা, মা বোনদের কাছে হাছিনা, বক্তৃতায় জননেত্রীও বলা হয়ে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে তিনি প্রয়োজনে আবার অস্ত্র হাতে নেওয়ার আবেগ। ছাত্র-জনতা তথা গণমানুষের কাছে তিনি দেশের কাজে সংগঠিত হওয়ার শক্তি।

এক সপ্তাহ আগে থেকেই শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে একটা সাজ সাজ রব রব ভাব জমে উঠেছিল আমাদের এলাকায়। মাঠে বিশাল একটা মঞ্চ করা হয়েছে। সবার কাছে বিস্ময়ের বিষয়- এই মঞ্চে দাড়িয়েই শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন। কি বলবেন শেখ সাহেবের বেটি বা কি কি বলা উচিত -এ নিয়ে ভাবনায় পড়ে গেছে স্থানীয় সিভিল সোসাইটি। তাদের ভাবখানা এমন যে শেখ হাসিনা এসেই তাদের সঙ্গে আগে ভাগে একটা সংক্ষিপ্ত মিটিং করে তারপর জনসভা করবেন।

এছাড়াও অনেকের প্রস্তুতিই আমাদের নজর কাড়ে। যেমন আমাদের স্কুলের দপ্তরি রহমত দাদাও একটা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। হঠাৎ যদি শেখ হাসিনা তার কাছে পানি খেতে চায়। তাহলে কতটা উত্তম ও পরিশীলিতভাবে তা পরিবেশন করবেন এ নিয়ে তার অনুশীলনের অন্ত নেই। তার মনে আরো একটা পরিকল্পনা আছে সুযোগ পেলেই সে শেখ হাসিনাকে আমাদের স্কুলের অবকাঠামো গত উন্নয়নের আবদার করবেন-এটা তিনি আমাদের বলে রেখেছেন।

ছাত্রদের একটা প্রস্তুতি আছে- সেটা হলো আমাদের এলাকার সমস্ত আবেগ দিয়ে শেখ হাসিনাকে নতুন নতুন স্লোগান উপহার দেওয়া। এলাকার যুবকরা আছে ভলান্টিয়ারের দায়িত্বে। মুরুব্বিদের ভাবসাব এমন যে তারাই জনসভা মাঠটা ভরে ফেলবে। কারণ তারা বঙ্গবন্ধুর লোক। আবার তাদের কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুর সাথে হাত মিলিয়েছেন এমন গল্পও চালু আছে। এদের অনেকেই বঙ্গবন্ধুর অনেক মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বা বঙ্গবন্ধুকে নিজের চোখে দেখেছেন। ধরতে গেলে তারাও একধরনের জীবন্ত কিংবদন্তি। তাদের তো অগ্রাধিকার রয়েছেই। এখানে আরো একটি গ্রুপ আছে যারা জীবনে শুধু একবার একনজর শেখ হাসিনাকে দেখবেন। তাদেরও খুব শক্ত অবস্থান। আবার অনেকে আছেন যাদের কথা হল বঙ্গবন্ধুর মিটিংয়ে যাইতে পারি নাই, শেখ হাসিনাকে দেখবোই- তারাও হালকা অবস্থানে নেই। এরমধ্যেই আমাদের স্কুলের ফিজিক্যাল স্যার বয়েজ স্কাঊটের সদস্যদের দিয়ে পুরো [৭] মাঠটা পরিষ্কার করিয়ে রাখলেন। তার কথা জনগণের পাশাপাশি আমাদেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। আয়োজক নেতারা মোটরসাইকেলের ভটভট শব্দে আওয়াজ দিয়ে স্কুল মাঠে যাচ্ছেন আর আসছেন।কী শশব্যস্ত ভাব! হওয়ারই কথা অতবড় নেত্রী আসবেন, তার প্রস্তুতি বলে কথা।

অতশত দেখার সময় আমাদের নেই - আমাদের কথা হল যত কাছে থেকে পারি শেখ হাসিনাকে দেখা চাই। মাঠে জায়গা না পেলে গাছের মগডালে উঠব। ইতিমধ্যে আমরা নিজেরা ঠিক করে ফেলেছি স্কুল মাঠের ঠিক পূর্বকোনের আম গাছটার কে কোন ডালে উঠব।

যথারীতি এসে গেল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। না শীত, না গরমের কাল।আকাশ খুব পরিস্কার। সকাল থেকে মিস্টি মিস্টি রোদ। সেই সাথে খণ্ড খণ্ড মিছিলে ভরে গেল মাঠ। ক্ষণে ক্ষণে ভেসে আসছে গগনবিদারী বাহারি স্লোগান। আমাদের মনে হচ্ছে শেখ হাসিনা বোধ হয় সবগুলো স্লোগান পছন্দ করে ফেলেছেন। বোধহয় সময় পেলে আগামী বছর আবার আসবেন। শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে মনে হয় আমাদের এলাকার অনেক উন্নয়ন করবেন।শেখ হাসিনার সাথে যারা এসেছেন তাদের প্রায় সকলেই সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা আর মুজিবকোট পরেছেন। দেখতেও ভাল লাগছে।প্রত্যেকের চেহারায় প্রতিরোধের ছাপ। কি সুন্দর শব্দশৈলী আর ছন্দের গাথুনি তার সাথে কী খাপের খাপ উপমা। এ যেন এক মহাকালের জনসভা।পরবর্তীতে শেখ হাসিনার প্রায় সবগুলো জনসভাই আমার কাছে ঠিক একইরকম অনুভূতির মনে হয়েছে।

নির্ধারিত সূচিতে যখন মাইকে ঘোষণা হলো বক্তব্য রাখবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা, তখন স্কুল মাঠের জনস্রোতে ঢেউ সারা বাংলাদেশকে আন্দোলিত করে দিল। এদিকে আমার শরীরে খেলে যায় এক অপুর্ব অসাধারণ শিহরনের ঢেউ। তিনি সোজা সাপ্টা বলে দিলেন,দেশের মানুষ ভাল নেই, উন্নয়ন নেই, অধিকার নেই, সুশাসন নেই- মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।তখন জনসভায় মুহুর্মুহু স্লোগান-শেখ হাসিনা, হাসিনা। তিনি আবার বললেন,আমার দল ক্ষমতায় গেলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করবো। আমাদের ক্লাসরুম ভবনকে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে বললেন, এই স্কুলের ভাঙ্গা ভবন আর ভাঙ্গা থাকবেনা, ভবন টি পাকা হবে। আমরা তো মহাখুশি, আমাদের স্কুল ভবন পাকা হবে।পরবর্তীতে সারের দাবিতে কৃষক নিহত হওয়ার ঘটনায় পরের বছরই তিনি আমাদের স্কুল মাঠে আবার জনসভা করেছিলেন এবং ১৯৯৬ সালে ক্ষমতাসীন হয়েই আমাদের ক্লাসরুম ভবনটির পাকা দালান নির্মাণ করেছিলেন।

তারপর ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাস। আবার দেখা করার সৌভাগ্য হলো আপামর বাঙালির চির আপন নেত্রী, আমার ব্যক্তিগত কল্পনায় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে। এবার একেবারে সামনাসামনি দেখা। বুকটা গর্বে ধুকধুক করছে।জীবনে ভাবিনি এমন সুযোগ আসবে। ভাবছি কী বলবো, মনে হচ্ছিল এখান থেকে পালিয়ে যাই। আমার মুখে বা মনে কথার যোগান পাচ্ছি না। উনি জিজ্ঞেস করলে নিজের নামটাও হয়তো ঠিকঠাক বলতে পারবো না। যা হোক সেবার তাঁর প্রশ্নের উত্তরে ভাল আছি ছাড়া আমাকে আর কিছুই বলতে হয়নি। শরীয়তপুর-২, নড়িয়া আসনের শহীদ সংসদ সদস্য নুরুল হক হাওলাদার এর একমাত্র কন্যা, আমাদের বড়বোন অজন্তা আপা একাই [১২] বুকের মধ্যে এক সমুদ্র সাহস নিয়ে শেখ হাসিনার প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক আলোচনার সফল সমাপ্তি ঘটালেন।সুধাসদন থেকে বের হওয়ার পর আমার মনে বিরাট এক ফুর্তি ভাব বিরাজ করছে। কি করবো- হেটে বাসায় যাব না রিক্সায় বাসায় যাব- দিশা পাচ্ছিলাম না। অনেকক্ষণ রাস্তায় হাটলাম।আবার পরেক্ষণেই মনটা খারাপ হল এই ভেবে যে, এত বড় একজন মানুষের সাথে সামনা সামনি সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েও কিছুই বলতে পারলাম না। অন্যকিছু না আমি যে তাঁর জনসভায় গাছে উঠে তাঁকে দেখেছি এটা অন্তত বলতে পারতাম। নিজের উপর নিজেরই রাগ বাড়তে লাগল। ২০০৩ এ আমাদের সংগঠনের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে দেখা হলেও বাক্যবিনিময়ের অবকাশ ছিলনা।

পরের ঘটনা ২০০৪ সালের। ২১ আগস্টে শেখ হাসিনার জনসভায় তাঁকে হত্যা উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হলো। অনেকেই হতাহত হলো। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসলেন মুক্তিকামী জনতার ভালবাসার নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। প্রাণে বাঁচলেও কানে মারাত্মক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হন। ২১ আগস্ট বিকেল থেকেই মন অস্থির করছে। কী ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে, কী লেখা আছে লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ভাগ্যলিপিতে। ২২ আগস্ট সারাদিন হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেছি। অনেক বড় বড় রাজনীবিদকে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাতে দেখেছি। এ যেন এক আহত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। অনেকেই শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে সমবেদনা জানাচ্ছেন, প্রতিবাদ করছেন এই ন্যাক্কারজনক গ্রেনেড হামলার। ২৩ আগস্ট দুপুরে জানতে পারলাম রাত আমাদের সংগঠন শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছে। প্রতিনিধি দলে আমিও আছি।মনের মধ্যে আবারো এক অজানা শিহরণ। এতবড় হামলার পরেও মাননীয় নেত্রীকে আল্লাহ প্রাণে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তাঁকে আবার সামনাসামনি দেখতে পাবো বা সমবেদনা জানাতে পারবো এটা আমার কাছে বিরাট পাওয়া মনে হল। ভাবতে লাগলাম এবার কী বলা যায়। ভাষা গাঁথুনির চেষ্টা করছি।অনেক কথা গুছিয়ে নিলাম। কাঙ্ক্ষিত সময়ে বলতে পারলে চলে। সুধাসদনে বসে আছি। সাড়ে ৯টার দিকে ডাক পড়ল। সবাই একে একে সাক্ষাৎ কক্ষে ঢুকলাম। সর্বকনিষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে সবার পরে ঢুকতে হলো। কিন্তু ইতিমধ্যে বড়রা যার যার অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে আসন গেড়েছেন। আমাকে বসতে হলো পরম শ্রদ্ধেয় নেত্রীর ঠিক মুখোমুখি একটি আসনে। কী একটা অবস্থা। আবার ভালোও লাগছে। কারণ এবার প্রস্তুতি ভাল। শেখ হাসিনা রুমে ঢুকেই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কেমন আছো? বিশাল প্রস্তুতি সত্বেও এ পর্যায়ে আমি আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম। সাতপাঁচ না ভেবেই এক নিঃশ্বাসে বলে ফেললাম, আমরা ভাল আছি। আপনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি। আমরা এর বিচার চাই। আরো এলোমেলো অনেক কথা। কিছু সাবলীল ভাবে বলতে পারছিলাম, কিছু কথায় বারবার আটকে যাচ্ছিলাম। তিনি সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন। আর আটকে যাওয়া বাক্য গুলোতে তিনি শব্দ যোগ করে দিয়েছিলেন বলেই বাক্য পূর্ণ করা সম্ভব হয়েছিল।

এরপর জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের বহু আন্দোলন-সংগ্রামের সফল নেতৃত্ব দিয়ে তিনি আজ বাংলাদেশের টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে সমৃদ্ধির অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। প্রতিবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছি। শ্রদ্ধাভরে সালাম দিয়েছি,সংক্ষিপ্ত বাক্যালাপও হয়েছে। প্রথম দিন জনসভায় তাঁকে দেখার পর এবং যেদিন উনি আমার কুশল জিজ্ঞেস করেছিলেন তারপর মনের মধ্যে যে আদর্শিক শ্রদ্ধাবোধের জন্ম হয়েছিল আজও তা জাগ্রত। আমার অনুভূতিতে এটাই সদা বিরাজমান যে, বঙ্গবন্ধুকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি, কিন্তু আমি একজন শেখ হাসিনাকে দেখছি।

আজ তাঁর জন্মদিন, সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের শুভদিন। জয়তু শেখ হাসিনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

লেখক: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়