সোহেল রানা: [২] মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে (আইপিএল) ঘিরে জুয়ার মহোৎসব চলছে বলে জানা গেছে। আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচকে ঘিরেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হোটেল,রেস্তোঁরা,মুদিরন দোকান,রেলওয়ে ষ্টেশনসহ ও ঘরে জুয়ার আসর বসছে।
[৩] অনুসন্ধানে জানা গেছে,কমলগঞ্জে শুধু আইপিএল নয় যেকোন আন্তর্জাতিক ওয়ানডে,টেস্ট,টি-২০,বিপিএল,বিশ্বকাপ আসর,এমনকি দেশ-বিদেশের ঘরোয়া লীগের খেলা শুরু হলেই জুয়ার রমরমা মহোৎসব শুরু হয়ে যায় কমলগঞ্জে। কোন দল জিতবে,কোন খেলোয়াড় কত রান করবে,কোন বোলার ক’টা উইকেট নেবে,উইকেট পড়বে কী না,৪ না ৬ রান হবে এমন অনেক বিষয় নিয়ে বাজি (জুয়া) ধরা হয়। এই ধরণের জুয়ার খেলোয়ারদের দু’ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত,যারা একসাথে কোন দোকান,হোটেল ও ষ্টেশনের প্লাটর্ফমের উপরে বসে জুয়া খেলে। এরা বাজি বা জুয়ার টাকা নগদ পরিশোধ করে। দ্বিতীয়ত যারা বাড়ি,অফিস বা অন্যত্র বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচিতদের সাথে বাজি বা জুয়া খেলে।
[৪] এ জুয়ার টাকা লেনদেন হয় বিকাশ ও অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংএর মাধ্যমে। প্রথম ধরনের জুয়া ২০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় জুয়া ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চলে বলে জানা যায়।
[৫] আলাপকালে স্থানীয়রা জানান,কমলগঞ্জের ভানুগাছ বাজারের কতিপয় যুবকরা কমিশনের মাধ্যমে এ জুয়ার আসার বসিয়ে থাকেন। আর লোভের বশবর্তী হয়ে এমনকি দিনমজুর ও মাছ ব্যবসায়ী রিকশা চালকেরাও জুয়া খেলছেন। এদের কেউ কেউ বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি ও সুদে ঋণ নিয়ে জুয়ায় অংশ নিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন পেশার মানুষ এ জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়লেও শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিসহ প্রশাসনের র্কমর্কতার মধ্যে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। মূলত তরুণদের মধ্যেই জুয়ার আসক্তি সবচেয়ে বেশি।
[৬] কমলগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন সময় পুলিশের অভিযানে জুয়াড়ি গ্রেপ্তার করার পর প্রকাশ্যে জুয়া খেলার প্রবণতা কমলেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এখনও জুয়ার জমজমাট আসর বহাল তবিয়তে চালু রয়েছে। কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন,এই খেলা সর্ম্পকে আমার জানা নাই। তারপরেও থানার সকল কর্মকর্তাকে এই খেলার জুয়াড়ি দেখামাত্রই গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :