জিয়া উদ্দিন :[২] বরগুনার আমতলী- নোমোরহাট সড়কটি সড়ক মেরামতের এক বছর যেতে না যেতেই বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কটি বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
[৩] জানাগেছে, ৮.৭০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কটি দিয়ে মাহেন্দ্রা, ব্যাটারী চালিত অটোরিকসা, ইজিবাইক চলাচল করে। মালামাল পরিবহনের জন্য প্রতিদিন পন্যবাহী ট্রাক, ট্রলি, পিকআপ, টমটম, নছিমন ছাড়াও পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল আনা নেয়ার জন্য ট্রলি ও লরি চলাচল করে।
[৫] উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ০ থেকে ২১.৫০ মিটার এবং ২০১৮-১৯ অর্থ ২১.৫০ থেকে ৮৬৫০ মিটার পর্যন্ত দু’দফায় ১ কোট ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল।
[৬] তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়ক সংস্কারের কার্যাদেশ পেলেও ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজগুলো অন্যাত্র বিক্রি করে দেওয়ার কারনে ও সড়কে নিম্নমানের কাজ হওয়ায় এখন সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়ে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
[৭] সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং ও বালু সরে যাওয়ার কারণে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে হেলেদুলে যানবাহন চলাচল করছে।
[৮] সড়কের পশ্চিম চিলা ছালাম হাওলাদারের মুদি দোকানের সামনে সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, প্রতিদিন এখানে সড়কের মধ্যে গাড়ি আটকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
[৯] পশ্চিম চিলার মুদি দোকানদার মো. আ. ছালাম হাওলাদারের বলেন, এ সড়ক সংস্কারের পূর্বেই আমার দোকানের সামনে দিয়ে বড় বড় গর্ত ছিল। গত বছর ওই সড়ক সংস্কার করা হলেও সংস্কারের কয়েক মাসের মধ্যেই আবার একই জায়গা দিয়ে কার্পেটিং উঠে খোয়া বালু সরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এখন প্রতিদিন এখানে সড়কের মধ্যে গাড়ি আটকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
[১০] উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে বলেন, সড়কের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল উপযোগী করে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে সড়কটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :