শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৪:১২ সকাল
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৪:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলোর কর্মসংস্থানের দায়িত্ব কি সরকারের?

নাসিমা খান মন্টি: [২] গত মার্চ মাসে বাংলাদেশে কোভিড ১৯ সংক্রমণ শুরুর পর আর্থিক সংকটে পরে খেটে খাওয়া মানুষ (রিক্সাচালক, সিএনজি চালক, বাস ড্রাইভার, হকার, চটপটি-চানাচুড় বিক্রেতাসহ ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে থাকা মানুষ)। এছাড়া, এই শহরেই বাস করেন প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। এসময় গভীর অর্থ ও খাদ্য সংকটে পরেন তারা।

[৩] তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মূল পেশা হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক আর্শিবাদ করে টাকা নেওয়া। যেটা তাদের ভাষায় ‘বাচ্চা আর্শিবাদ বা নাচানো’। আবার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে বাজার থেকে নিত্য পন্য (চাল, ডাল, তেল, মাছ মাংস) বিনা পয়সায় নেওয়া, যাকে ওরা বলে ‘বাজার তোলা’। এই দুই ধরনের কাজ করেই সাধারণত তারা জীবিকা চালায়। কেউ কেউ যৌনকর্মী হিসেবেও কাজ করেন। তবে করোনাকালে এই একটি কাজও তারা করতে পারেনি।

[৪] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে সহযোগিতার জন্য বিশেষভাবে বলেছেন। প্রান্তিক মানুষ হিসেবে তাদেরকেও যেনো খাদ্য ও অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ কম থাকায় সরকারি বা ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া সহযোগিতাও তারা তেমন একটা পায়নি বা নিতে পারেননি। ফলে তাদের দুর্ভোগটা ছিলো একটু বেশি।

[৫] করোনাকালে কয়েকজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে কাজ দেয় একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে যেহেতু তাদের কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশায়ও তারা অভ্যস্ত না, তাই তারা সেই প্রতিষ্ঠানের কাজটি বেশিদিন করতে পারেনি।

[৬] প্রথমত, তারা প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি ভালো করে জেনে নেয়নি বা তাদেরকে সঠিকভাবে জানানো হয়নি। ফলে কিছু ভুল বা লঘু অপরাধের কারণে তাদের চাকরি চলে যায়।

[৭] দ্বিতীয়ত, সেই প্রতিষ্ঠানে আরও একটি সমস্যা হয়, টয়লেট ব্যবহার করা নিয়ে। আট-নয় ঘন্টা কাজ করতে হলে তাদেরকে অবশ্যই টয়লেট ব্যবহার করতে হবে। সেখানকার কর্মরত অন্যান্য নারী বা পুরুষকর্মীরা তাদের ’টয়লেট’ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে ব্যবহার করতে দিতে চায়নি। সেখানকার কর্মরত নারী কলিগদের মতে, তারা নারী নয় তাই নারী টয়লেট ব্যবহার করতে পারবে না। আর যেহেতু সে নারী পোশাক পরে আসে তাই তার পক্ষে পুরুষদের টয়লেট ব্যবহার করাও সম্ভব নয়। সুতরাং তাদের পক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সম্ভব হয়নি।

[৮] এ সময় অভাবের কারণে কয়েকজন তাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে থাকার চেষ্টা করে। তবে সামাজিক কারণে তারা পরিবারেও জায়গা পায়নি। কারণ পরিবার তাদেরকে তার বেশভুষা পরিবর্তন করে চলতে বলে বা বিয়ে করে স্বাভাবিকভাবে চলার জন্য চাপ দেয়, যা তারা করতে চায়নি। ফলে টাকা-পয়সা না থাকার কারণে পায়ে হেটে ঢাকায় আসতে বাধ্য হয় এদের অনেকে।

[৯] এই মানুষগুলোর সমস্যা যদি আমরা বিবেচনায় নিয়ে তাদেরকে কাজের জন্য উৎসাহী করতে পারি, তবে হয়তো তাদেরকে ভিক্ষাবৃত্তি বা অপরাধমূলক কাজ থেকে বিরত রাখতে পারবো।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়