শেখ সাইফুল ইসলাম কবির : [২] বাগেরহাটের ফকিরহাটে শিক্ষিত বেকার যুবক সঞ্জিত দেবনাথ এখন দেশী-বিদেশী জাতের ডেইরী ও পল্ট্রি ফার্ম করে আগের চেয়ে অনেক স্বাবলম্বি হয়েছেন। একজন শিক্ষিত বেকার যুবক হয়েও তিনি চাকরি নামের সোনার হরিণের পিছনে পড়ে না থেকে নিজের পায়ে দাড়িয়ে এখন নিজেই স্বাবলম্বি হয়েছেন। তার মত শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি বছরের পর বছর চাকরির পিছনে না পড়ে থেকে যা আছে তাই নিয়ে কর্ম করে খান তাহলে নিজে ও সমাজের উন্নতি করা সম্ভব হবে বলেও তার অভিমত।
[২] জানা গেছে, লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া বারুইডাঙ্গা গ্রামের সুভাষ দেবনাথ এর পুত্র সঞ্জিত দেবনাথ ২০০১সালে এসএসসি এবং ২০০৪ সালে এইচএসসি পাশ করেন। পাশ করার পর দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বিভিন্ন স্থানে চাকরি করার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন। কিন্তু চাকরি নামক সোনার হরিণ তার ভাগ্যে জুটলো না। তাই মনের কষ্টে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে পাড়ি জমায়। সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ থাকার পর পুনঃরায় আবারও দেশে ফিরে আসেন।
[৩] ফিরে এসে চিন্তা করেন চাকরির পিছনে দৌড়ানোই তার কোন লাভ হবে না। তাই প্রথমে একটি দেশী গাভি পালন করা শুরু করেন। সেই দেশী গাভিতে বিদেশী জাতের বীজ দিয়ে এখন পরপর ৪টি গরু নিয়েই তার ডেইরী ফার্ম। এখন বাছুর বড় হয়েছে তার পরেও তার গাভীতে ৭/৮লিটার দুধ দিচ্ছে। শুধু তাই নয় ডেইরী ফার্মের পাশের দেড়হাজার এসকয়ারফুটের ১টি ঘর নির্মাণ করে সেখানে দেশী ও বিদেশী জাতের মুরগীর ফার্মও করেছেন তিনি। প্রথম কয়েক দফায় তার কয়েক লক্ষ টাকার লস হলেও এখন পরিস্থিতি অনেকটা ভাল। তার ফার্মে বর্তমানে দেশী মুরগী ২শতাধিক এবং বিদেশী অর্থাৎ সোনালী ৪ শতাধীক রয়েছে। তিনি বলেন তার মত শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি বছরের পর বছর চাকরির পিছনে না ছুটে যা আছে তাই নিয়ে কর্ম করে খান তাহলে নিজে ও সমাজের উন্নতি করা সম্ভব বলেও তার অভিমত।
আপনার মতামত লিখুন :