রাশিদুল ইসলাম : [২] মার্কিন নেতাদের ৪০ বছরের ঐতিহ্য ভেঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার কর বিবরণী প্রকাশ করেননি। একজন বিলিওনারি ব্যবসায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এটা করতে পারেন কি না সে নিয়ে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কোটিপতি হলেও ৩’শ মিলিয়ন ডলার ঋণভারে জর্জরিত মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। স্টারইউকে
[৩] নিউ ইয়র্ক টাইমস ট্রাম্পের কর দেয়া ও না দেয়া নিয়ে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ব্যবসায় এত বেশি লোকসান খেয়েছেন ট্রাম্প যে তার যা সম্পদ রয়েছে তার চেয়ে বেশি হারিয়েছেন তিনি। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ক্ষতির কথা স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাই তিনি কর দেবেন কোত্থেকে?
[৪] প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে ট্রাম্পের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই লোকসানমুখী। গলফ কোর্স থেকে শুরু করে ওয়াশিংটনের হোটেল পর্যন্ত বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ঋণের পরিমানও অনেক বেশি। ৩’শ ডলার ঋণ পরিশোধ করতে ট্রাম্পের লেগে যাবে ৪ বছর।
[৫] হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান তিনি কর দেন। খুব শীঘ্রই তিনি কর বিবরণী দেখাতেও পারবেন বলে জানান। বরাবরের মতই কর না দেয়ার অভিযোগকে ট্রাম্প ‘ফেক নিউজ’ বলে উড়িয়ে দেন।
[৬] প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন অডিট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। কর বিভাগ তাকে ভাল চোখে দেখেন বলেও অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। এবং দাবি করেন অনেক কর দেন। কর বিভাগ অডিট করছে আমরাও দরকষাকাষি করছি। যেহেতু অডিট চলছে তাই নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটিকে ফেক নিউজ বলে অভিহিত করেন।
[৭] ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন স্বল্প কর দেয়ায় ট্রাম্পের সমালোচনা করেছিলেন। জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন কর না দেয়া বরং স্মার্টের পরিচয়।