শাহানুজ্জামান টিটু: [২] বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশ নৈরাজ্য চলছে। এখানে কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। এখানে একটা বিশৃঙ্খলা চলছে এবং সেটা আওয়ামী লীগের সৃষ্ট। অবিলম্বে ছাত্র লীগের দুস্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।
[৩] মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসছে তখনই এই ধরনের নৈরাজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবণতি হয়েছে। আওয়ামী লীগ একটা ব্যাপারে সফল হয়েছে তারা সারাদেশের সকল মানুষের মধ্যে একটা ত্রাস সৃষ্টি করতে পেরেছে, একটা ভয়-ভীতি সৃষ্টি করতে পেরেছে।
[৪] তিনি বলেন, যে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জোর করে নিয়েছে এবং যারা পুলিশকে ব্যবহার করেছে তাদের অপকর্মগুলোতে। আপনি জেলা শহরগুলোতে যান। গিয়ে যদি আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মিটিংগুলোতে দেখবেন যে, এসপি সাহেব ওখানে যে বক্তব্য রাখে সেই বক্তব্য আওয়ামী লীগের নেতার চাইতে ১০ গুণ বেশি। সে নিজেই স্বাধীনতার বড় সৈনিক, সে নিজে এই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় সৈনিক, সে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে ২০১৪, তারপরে ২০১৮ সালে। ওরাই তো প্রধান। হু আর ইউ, তোমরা কী করেছো। দ্যা(সরকার) হ্যাব লস কট্রোল। কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। এটা তো পলিটিক্যাল গর্ভামেন্ট নয়, ব্যাঙ্কক্রাফট ওরা।
[৫] মির্জা ফখরুল বলেন, প্রবাসীদের ফেরার বিষয়টি নিয়ে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। একটা হচ্ছে যে, তাদেরকে(প্রবাসীদের) আসার সময়ে যে সুরক্ষা দেয়ার কথা ছিলো সেটা দেয়া হয়নি। পরে অর্থনৈতিক যে প্রণোদনা দেয়ার কথা ছিলো সেটা দেয়া হয়নি। ফলে অনেকেই ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
[৬] রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :