শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:১০ দুপুর
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] গ্রিড লাইন নির্মাণে চলছে পিজিসিবি’র সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার কাজ

শাহীন চৌধুরী: [২] দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি সরকার গ্রিড লাইনের আধুনিকায়নের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে। এজন্য পাঁচ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, প্রকল্পটির কাজ বাড়ানোর জন্য কিছুদিন আগে এক একনেক সভায় ‘পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেংদেনিং প্রজেক্ট’র ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এতে সারাদেশে বিদ্যুৎ গ্রিড বা সঞ্চালন গতিশীল করতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ পিজিসিবি’র প্রকল্পের ব্যয় ৬২৩ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। বর্তমানে এখানে চীনের অর্থায়ন কমিয়ে বাড়ানো হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন।

[৩] উল্লেখিত প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তার মেয়াদ ৩ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন মাসে ধরে নতুন লক্ষ্যমাত্রাও ঠিক করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের সময় যে ২৭টি প্রকল্পে ঋণ চুক্তি হয়েছিল তার একটি এই প্রকল্প। তখন প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা।

[৪] এরমধ্যে ঋণ সহায়তা হিসেবে ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ২৬৬ কোটি টাকা জোগান দেওয়ার কথা ছিল। বাকি ৩ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে দেওয়ার কথা।

[৫] এদিকে ওই চুক্তির আগে চীনা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করলে শেষ পর্যন্ত সরকারি অর্থায়ন বাড়িয়ে প্রায় ৫ হাজার ৯২১ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। আর বাস্তবায়নকারী সংস্থা পিজিসিবি দেবে প্রায় ৩৭৮ কোটি টাকা। একই সাথে প্রকল্প ঋণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা কমানো হয়। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ওই সংশোধনীতে প্রকল্প সহায়তা প্রায় এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকা কমিয়ে ৮ হাজার ২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

[৬] সূত্রমতে, এই প্রকল্পের জন্য চীন থেকে প্রায় ৯ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা সহায়তা নেওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যেই চীনের সঙ্গে এ প্রকল্পটির অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে চূড়ান্ত চুক্তি হয়েছে। সাম্প্রতিক বৈঠকে ওই প্রকল্পটিসহ ৪ হাজার ৪৬০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ের সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি নতুন প্রকল্প, চারটি সংশোধিত প্রকল্প।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। পিজিসিবি দাবি করেছে, তাদের সঞ্চালন ক্ষমতা ১৮ হাজার মেগাওয়াট। মূলত যে কোন বিপর্যয় মোকাবেলা করার জন্যই বিদ্যুৎ সঞ্চালন ক্ষমতা উৎপাদন ক্ষমতার চেয়ে বেশী রাখা হয়। বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখেই নতুন আরও ১১টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের বিদ্যুৎ সঞ্চালনে কোনও সমস্যা হবেনা। এ প্রসঙ্গে পিজিসিবি’র সহকারি ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম বদরুদ্দোজা খান আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, করোনাকালে প্রথম আড়াই মাসে কাজের গতি কিছুটা কমলেও এখন তা চলছে পুরোদমে। এসব প্রকল্পের মধ্যে কিছু এখনো পরিকল্পনা পর্যায়ে, কিছু ডিপিপি পর্যায়ে এবং কিছু বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে। তবে সবগুলো প্রকল্পের টার্গেটই ২০২৪ সাল বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়