সমীরণ রায় : [২] কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ভাটা পড়লেও পুনরায় সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দলটি সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের বৈঠক হয়েছে। এছাড়া দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর বৈঠক হয়। এসব বৈঠক থেকে কমিটি গঠন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, কমিটিতে যেন অনুপ্রবেশকারীসহ কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে স্থান দেয়া না হয়। কমিটিগুলোয় সৎ, ত্যাগী, দক্ষ ও একনিষ্ঠকর্মী থাকা সত্ত্বেও অভিমান করে নিস্ক্রিয়দের স্থান দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
[৩] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সভায় বলেন, দল সীমিত পর্যায়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। জাতীয় সম্মেলনের আগে পরে ৩১টি সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন হয়েছে। করোনার কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বিলম্ব হলেও অধিকাংশ কমিটি দপ্তরে জমা পড়েছে। এসব কমিটিতে দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। কোনো অনুপ্রবেশকারীকে নেতা বানানো যাবে না।
[৪] আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা স্থবির থাকলেও আবার সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা পড়েছে। যাচাই-বাছাই করে ঘোষণা করা হবে। কমিটি হবে নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে। তবে যাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কোনো অভিযোগ নেই, সৎ, দক্ষ, ত্যাগী ও যারা দলের পদপদবী না পেয়ে অভিমান করে নিস্ক্রিয় ছিলেন, তাদের কমিটিতে প্রাধান্য দেয়া হবে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব