রহিদুল খান : [২] যশোর পৌর এলাকার বেশির ভাগ সড়কে বাতি জ্বলছে না গত তিনমাস ধরে। এতে চুরি-ছিনতাই হচ্ছে প্রতিনিয়িত। আবার রাত হলেই ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হচ্ছে শহর।
[৩] শহরের বেজপাড়া মেইন রোড এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের সড়কটি ব্যস্ততম। কেননা এই সড়ক দিয়ে সহজে শহরের চৌরাস্তা-দড়াটানা, রেল স্টেশন, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাতায়াত করা যায়। যে কারণে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ ব্যবহার করছে সড়কটি। কিন্তু গত ৩ মাস ধরে সড়কের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বাতি জ্বলেনা। আবার মেইন রোডের সাথে আবাসিক এলাকার গলির রাস্তার একই অবস্থা।
[৪] একই এলাকার সুলতান হোসেন জানান, আমাদের সড়কের দোকানগুলো যতক্ষণ খোলা থাকে ততক্ষণ রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে। দোকানগুলো রাত ১১টার দিকে বন্ধ হয়ে গেলেই ভূতুড়ে সড়কে পরিণত হচ্ছে। আর আবাসিক গলিতে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি অন্ধকারে দেখা যাচ্ছেনা। বিষয়টি আমরা একাধিকভার কাউন্সিলরকে জানিয়েছি, কিন্তু তিনি কোনো প্রদক্ষেপ নেননা।
[৫] শহরের বকচর হুশতলার বাসিন্দা মজিদা বেগম ক্ষোভের সাথে বলেন, নির্বাচনের পর থেকে কাউন্সিলর কোনো খোঁজ নেয়না নাগরিকদের। এখানকার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী। সড়কে বাতি জ্বলেনা।
[৬] ঘোপ নওয়াপাড়ার বাসিন্দা মাকসুদুর রহমান বলেন, অনেক দিন সড়কের বেশিরভাগ বাতি জ্বলছেনা। যেগুলো জ্বলে সেগুলো জ্বলে আর নেভে। অন্ধকারে রাস্তা চলাচল করতে হচ্ছে। মনে হয়, আমরা গ্রামে বসবাস করছি।
[৭] শহরের নলডাঙ্গা রোড আলম গ্লাস হাউস এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, বাতি না থাকায় এই সড়কে সন্ধ্যার পর ভূতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হয়। একারণে সড়কে ছিনতাই চুরির আশঙ্কা রয়েছে। চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষের।
[৮] যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর মোকসিমুল বারি অপু ও সন্তোষ দত্তের সাথে। তারা জানান, সড়কের বাতি না জ্বলার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় পৌরসভা কিনতে পারছেনা। বাতি কিনলেই সব লাগিয়ে দেয়া হবে।
[৯] সড়ক বাতি সংকটের কথা স্বীকার করে যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন জানান, আমরা ৮শ বাতি কিনছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব সড়কে বাতি লাগিয়ে দেয়া হবে। এর মধ্যে ৩শ’ এলইডি ও ৫শ এনার্জি বাতি রয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী