রাশিদুল ইসলাম : [২] সেই ৮২ বছরের বিলকিস টানা ১০১ দিন ছিলেন ভারতের শাহিনবাগের ওই ধর্না মঞ্চের সামনে। কোভিড সতর্কতায় ২৪ মার্চ ধর্না তুলে দেয় পুলিশ। তখন হাড় হিম করা ঠান্ডা দিল্লিতে। তার মধ্যেই শাহিনবাগে প্রস্তুতি চলছিল ‘হার না মানা’ আন্দোলন শুরুর। যেদিন শুরু হল, সেদিনই সন্ধেবেলা দেখা গেল অবস্থান মঞ্চের সামনে এসে বসে পড়েছেন এক বৃদ্ধা! টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] সঙ্গে বেশ কিছু শীতের পোশাক নিয়ে এসেছেন তিনি। বিলকিস টানা ১০১ দিন ছিলেন শাহিনবাগের ওই ধর্না মঞ্চের সামনে। কোভিড সতর্কতায় ২৪ মার্চ ধর্না তুলে দেয় ভারতীয় পুলিশ। তারপর বাড়ি যান বিলকিস।
[৪] শাহিনবাগেই বাড়ি বিলকিসের। স্বামী.মারা গিয়েছেন বছর ১৫ আগে। দুই সন্তানের কাছেই থাকেন তিনি। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল বিলকিসের কথা। তারপর অসংখ্য বৃদ্ধা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আন্দোলনে যোগ দেন।
[৫] ২৬ জানুয়ারি সকালে রোহিত ভেমুলার মাকে নিয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা উড়িয়েছিলেন দাদি।
[৬] বলেছিলেন মোদী-অমিত শাহ, আপনারা দেশের শাসক। সব ক্ষমতা আপনাদের হাতে। ভয় দেখিয়ে সবাইকে থামিয়ে দিতে চান আপনারা। কিন্তু আমায় পারবেন না। যতদিন প্রাণ আছে, আমি বলে যাব। একা লড়ে যাব।
[৭] ঠিক ধর্নামঞ্চের ২০০ মিটার দূরে গুলি চালানোর পরও মঞ্চে বসেছিলেন দাদি। বলেছিলেন, মানুষের আন্দোলনের চাপে ওরা ভয় পেয়ে গুলি ছুড়ে ভয় দেখাচ্ছে। যাবার আগে বলেছিলেন আবার আসব। অনেক বড় লড়াই পড়ে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :