মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহী মহানগরীর নবগঙ্গা এলাকার পদ্মা নদীর চরে মালিকদের পিটিয়ে আহত করে ২৫টি গরু-মহিষ লুট করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৩] বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।
[৪] আহত তিনজন হলেন- পদ্মার ওপারের চর মাজারদিয়া গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে সিরাজউদ্দৌলা টুনু (৩২), একই গ্রামের আবদুল গাফফারের ছেলে মো. বাবু (৩০) এবং ইসাহাক আলীর ছেলে তাহাজুল ইসলাম (৪৫)। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[৫] আহতদের স্বজনেরা জানান, পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা চরে গরু-মহিষ চরানো হয়। প্রতিদিনের মতো বুধবারও কিছু ব্যক্তি তাদের গরু-মহিষ নবগঙ্গা এলাকার বিপরীতে পদ্মার চরে গবাদিপশু নিয়ে যান। এ সময় নবগঙ্গা এলাকার চর দখলকারী রাসেল, ঝাটু, ইসমাইল, সাদেক, দুলাল ও বেলালসহ আরও ১০-১৫ জন ব্যক্তি গরু-মহিষের মালিকদের গিয়ে মারধর শুরু করেন। তারা দাবি করেন, চরের এসব জমিতে তারা চাষাবাদ করবেন। গরু-মহিষ চরানো যাবে না। এ সময় গরু-মহিষের মালিকেরা বলেন, এটা সরকারি চর। এখানে তারা গরু-মহিষ চরাতেই পারেন। এ কথা শুনেই টুনু, বাবু ও তাহাজুলকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করা হয়। হাঁসুয়া দিয়েও তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দেয়া হয়। এতে তারা তিনজন আহত হলে তাদের ১৫টি গরু ও ১০টি মহিষ নিয়ে চলে যান হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
[৬] রাজশাহীরর দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :