লিহান লিমা: [২] গত মার্চে লুইসভ্যালিতে নিজের বাড়িতে সাদা পোশাকে উপস্থিত হওয়া তিন পুলিশের গুলিতে হত্যার শিকার হন কৃষ্ণাঙ্গ তরুণী ব্রেওনা টেইলর (২৬)। তিন পুলিশ সদস্য সরাসরি এই হত্যায় জড়িত থাকলেও স্থানীয় সময় বুধবার তিন অফিসারের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে প্রথম ডিগ্রির ওয়ান্টন এনডেঞ্জারমেন্ট বা টেইলরের প্রতিবেশির বাড়িতে গুলি লাগায় অভিযোগ গঠন করা হয়। বাকি দুইজনকে চাকরি থেকে পদচ্যুত করা হয়। অর্থাৎ টেইলর হত্যাকাণ্ডে সরাসরি কোনো পুলিশের ওপরই অভিযোগ আনা হয় নি। সিএনএন/এপি/আল জাজিরা
[৩]এই ঘোষণার পরপরই বুধবার রাতে লুইসভ্যালি, নিউইয়র্ক, শিকাগো, ওয়াশিংটন ডিসি, নাসভ্যালি, লাস ভেগাস, আটলান্টা ও ফিলাডেলফিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দুই সাংবাদিকসহ ৪৬জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছু শহরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। লুইসভ্যালির বিক্ষোভে দুইজন পুলিশের ওপর গুলি চালানো হয়। সন্দেহভাজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আহত দুই পুলিশ সদস্যের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। লুইসভ্যালির মেয়র শহরে তিন দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। কেনচুকির গর্ভনর এক ভিডিও বার্তায় বিক্ষোভকারীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
[৪]ব্রেওনা টেইলরের আইনজীবী বেন ক্রাম্প গ্র্যান্ড জুরির এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে কৃষ্ণাঙ্গদের গণহত্যাকে আইনী বৈধতা দেয়া হলো, আমাদের কাছে যত প্রমাণই থাকুক না কেনো তারা এটিকে আইনী বৈধতা দিতে সবসময়ই কোনো না কোনো উপায় বের করে।’
[৫]কেনচুকির অ্যাটর্নী জেনারেল ড্যানিয়েল ক্যামেরুন দাবী করেন, টেইলরের বিরুদ্ধে পূর্ব সতর্কতা ব্যতীত দেয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিলো। পুলিশ বাড়িতে ঢোকার পূর্বে টেইলর টের পেয়ে যাওয়ায় পুলিশ গুলি চালায়।’
[৬]এদিকে টেইলরের প্রেমিক কেনেথ ওয়াকার বলেন, ‘কি হচ্ছে কিছুই জানতাম না। গুলি চালানো ব্যক্তিরা যে পুলিশ ছিলো তাও বুঝিনি। কেউ দরজায় ধাক্কা দেয় ও তাকে গুলি করে।’
[৭]মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস বলেন, ‘গতকাল, আজ এবং কাল, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে টেইলরের পরিবারের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’
[৮]এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায়১২০তম দিনের মতো বর্ণবাদ ও পুলিশি নিপীড়ন বিরোধী বিক্ষোভ চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :