রাশিদুল ইসলাম : [৩] শর্তগুলো চূড়ান্ত করতেই পেন্টাগন কাবুলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে যুক্তরাষ্ট্রের বিরতিহীন যুদ্ধের অবসানের কথা বলছেন। বিশেষ করে ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক হাজার মার্কিন সেনা ফিরিয়ে আনার ঘোষণাও দিয়েছেন ট্রাম্প। স্পুটনিক
[৪] যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ওভারসাইট এন্ড রিফর্ম সাবকমিটি অন ন্যাশনাল সিকিউরিটিকে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলছেন বিচক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেই আফগানিস্তান থেকে শর্ত মিললে সব সেনা ফিরিয়ে আনা হবে।
[৫] তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে কি ধরনের চুক্তি হয় তার ওপরও সেনা ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে। হাউসের শুনানিতে মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ডেভিড হেলভে বলেছেন আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা সংখ্যা ৪ থেকে ৫ হাজারে নামিয়ে আনার চেয়ে পুরোপুরি প্রত্যাহারে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশটিতে সাড়ে ৮ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।
[৬] আগামী নভেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা সংখ্যা সাড়ে চার হাজারে নামিয়ে আনবে পেন্টাগন।
[৭] গত দুই দশকে এই প্রথমবার কাতারে তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে। এর পরিণতির ওপর নির্ভর করছে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না। এধরনের আলোচনার সম্ভব হয়ে উঠেছে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তালেবানদের কৃত একটি শান্তি চুক্তি।
[৮] আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতি ঘোষণাও এখন দোয়ায় আলোচনার আরেক লক্ষ্য। এছাড়া আফগানিস্তানে নারীর অধিকার ও ক্ষমতার অংশীদারিত্ব আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে।