রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারত শুধু নয়, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রও যে চীনের নিশানায় ছিল সে তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চীনা অ্যারোস্পেস স্টাডিজ ইনস্টিটিউট (সিএএসআই)। তাদের রিপোর্ট বলছে, ২০১২ সালে নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির জরুরি তথ্য হ্যাক করার চেষ্টা হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একাধিকবার মহাকাশ-যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয় চীন। ভারতের একাধিক স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহে সাইবার হামলার চেষ্টা করা হয়। ম্যালওয়ার ঢুকিয়ে মহাকাশ গবেষণার কেন্দ্রের গ্রাউন্ড স্টেশনের গোপন তথ্য নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছে। এমনটাই দাবি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো’র।
[৪] সিএএসআই বলছে, ২০১২ সালে নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির জরুরি তথ্য হ্যাক করতে যেয়ে পুরো নেটওয়ার্কের উপরেই কব্জা করে ফেলে চীনের নেটওয়ার্ক।
[৫] মহাকাশ-যুদ্ধের প্রস্তুতি দশকের পর দশক ধরেই চলছে। যে কারণে স্যাটেলাইট ধ্বংসকারী প্রযুক্তি রয়েছে বিশ্বের কয়েকটি দেশের হাতে। ভারতের হাতে আছে অ্যান্টি-স্যাটেলাইট তথা এ-স্যাট। এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তিন মিনিটের মধ্যে কৃত্রিম উপগ্রহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছিল ভারত। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনেরও এই ক্ষমতা আছে।
[৬] ইসরো জানাচ্ছে, গত বছর চীন ভারতের ওই অস্ত্রের ক্ষমতা সহ পৃথিবীর কক্ষে থাকা ভারতের বিভিন্ন স্যাটেলাইটের উপরে গোপন হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তবে তা ব্যর্থ হয়।
[৭] ভারতের বিমান বাহিনীর হাতে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও যুদ্ধ বিমানের নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভাবে সাহায্য করার জন্য এই মুহূর্তে রয়েছে মোট ৪৭টি নয়া প্রযুক্তির উপগ্রহ।
আপনার মতামত লিখুন :