সুপন রায়: তিনি একসময় এক প্রভাবশালী উপদেষ্টার গাড়ি চালাতেন। চালিয়েছেন অনেক ডিজির গাড়িও। এখন কাগজে-কলমে চালান সবাসহ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের গাড়ি। তার সম্পদ খুব বেশি না- ২টি সাততলা ভবন। ১টি ১০ তলা নির্মাণাধীন ভবন। ২৪টি ফ্লাট, প্লট ও গরুর খামার। যদিও তার মেয়ে বলছেন, র্যাব-পুলিশ মিথ্যা বলছে। ও হ্যাঁ, তিনি কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরে কর্মরত সকল চালকদের নেতা। তিনি আবার ধর্ম পরায়ন। ৩ বার হজ পালন করেছেন। জনাব আব্দুল মালেকের শান-শওকত দেখে, এক সিনিয়র জেলা জজ বন্ধু আক্ষেপ করে আমাকে বললেন, ‘ড্রাইভারের ২৪টা ফ্লাট আর আমরা চাকরি করে একটা সামান্য ফ্লাট কিনতে হিমশিম খাচ্ছি’।
তার মতো আক্ষেপ করলেন, পরিচিত এক চিকিৎসক অধ্যাপকও। সত্যি করে বলছি, আক্ষেপ আমারও হচ্ছে আজ প্রচণ্ড? তরুণ শিক্ষার্থীদের সামনে কী উদাহরণ তৈরি হচ্ছে, একের পর এক? কী চমৎকার সব আইডল। আব্দুল মালেক। আবজাল ইত্যাদি। কেমন করে এতোটা আগরাসী হতে পারলেন একজন গাড়ি চালক? চালকেরই যদি এই হয়, ডিজিদের অবস্থা কী? পুরো খাতের এ-টু জেড অডিট করা দরকার। সরকারের বিশাল কমার্শিয়াল অডিট দল কী করে? একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দরকার। কে দেবে এই ধাক্কা? চাটার দল কি চাটতেই থাকবে জীবনভর? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :