শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০২:১৭ রাত
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০২:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসনাত কাইয়ূম: খাতওয়ারি চিন্তা আর খাতওয়ারি সমাধানের দিন শেষ

হাসনাত কাইয়ূম: হাসান আল মামুনসহ নূরদের ৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহার এবং সংশ্লিষ্ট আরো কিছু কাগজপত্র দেখতে হলো। একজন আইনজীবী হিসেবে সেইসবের কথা সবিস্তারে বলা যাচ্ছে না। তবে আপনাদের অনেকেই জানেন, এই আইনটির অতি ব্যবহার সম্পর্কে ইতিপূর্বে কিছু গবেষণা হয়েছে এবং সেসব গবেষণা প্রকাশও হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু মামলা-ব্যবসায়ী দরিদ্র অসহায় নারীদের ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এই আইনে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করানোর কারণে ৯০ ভাগেরও বেশি মামলায় সাজা হয় না এমন অভিযোগ আগেও ছিলো। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের কোনো নারী শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করা হয়েছে, এমন অভিযোগ বোধহয় এবারই প্রথম উঠলো। এই অভিযোগের অভিঘাত মোটেও ভালো না।

এদেশের অনেক কিছুই গেছে, তারপরেও নারী অধিকার, নারীর প্রতি সহিংসতা রুখতে যারা আন্তরিকভাবে কাজ করেন, তাদের বোধয় সবকিছু আরেকটু তলিয়ে দেখতে হবে, না হয় কোনো হাতিয়ারই হাতে থাকবে না। আর একটি কথা মনে রাখা ভালো, আমাদের এখানে সবকিছুর সমাধান হিসেবে কঠোর থেকে কঠোরতর আইন বানানোর দাবি তোলাটা বেশ জনপ্রিয় আর অপরাধীদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের নিচে তো কোনো শাস্তির কথা আমরা ভাবতেই চাই না। মনে রাখা জরুরি, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কাঠামো ঠিক করার আগে, আইনকে যতো কঠোর করবেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধারী আর বিচারিক প্রশাসনের দুর্বৃত্তপনার সুযোগ ততোই বাড়বে আর ততোধিক বাড়বে প্রকৃত নিপীড়িতদের নিগৃহীত হওয়ার মাত্রা। ভাবতে হবে সামগ্রিকভাবে; খাতওয়ারী চিন্তা আর খাতওয়ারী সমাধানের দিন শেষ। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়