দীপু মাহমুদ: পড়াশোনা করতে আমার ভালো লাগতো না। স্কুলের স্যাররা আমাকে নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন। কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে গত ১০ বছরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেলের রেকর্ড নেই। আমি এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে ১০ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলি কিনা তাই নিয়ে স্যারদের টেনশন। হেড স্যার বললেন, টেস্ট পরীক্ষায় যদি রেজাল্ট ভালো করতে না পারে, তাহলে সে এবার ড্রপ দেবে। পরীক্ষা দেবে না। এসএসসি টেস্ট পরীক্ষার আগে আমি এক চাঁদ দেখলাম ৩টা। কুষ্টিয়া থেকে খুলনাতে গেলাম চোখ দেখাতে। বড় ডাক্তার চোখ দেখে বললেন, পরীক্ষা চলে গেলে চোখ ভালো হয়ে যাবে। ওষুধ লাগবে না। ডাক্তার আঙুল চোখের সামনে নাড়ানোর ব্যায়াম দিলেন। ওষুধ দিলেন না। চশমার ফ্রেম ঠিক করে রেখেছিলাম। চশমাও দিলেন না। তাতে আমার চাঁদ ৩টা দেখা বন্ধ হলো না। আব্বার বিশেষ অনুরোধে হেড স্যার আমাকে টেস্ট পরীক্ষা দেওয়া থেকে মুক্তি দিলেন। মহা আগ্রহ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলাম।
এসএসসি পরীক্ষা দিলাম। ফল বের হলো। এত্ত এত্তও সাবজেক্টে স্টার মার্কস নিয়ে ফার্স্ট ডিভিশনে পাস করেছি। আব্বা অত্যাধিক খুশি হলেন। প্রচণ্ড আনন্দে আব্বা ভেসে গেলেন। অতি উৎসাহ নিয়ে আমাকে বললেন, আর পড়তে হবে না, তুমি ড্রাইভিং শেখো। আব্বার কথা শুনলাম না। ড্রাইভিং শিখতে না গিয়ে কলেজে ভর্তি হলাম। আব্বার কথা সকলের শোনা উচিত। আব্বার কথা শুনলে আমি হয়তো এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের গাড়ির ড্রাইভার হতে পারতাম। অঢেল আর্থিক লোনে ডুবে থাকতে হতো না আমাকে। শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যেতাম। আমার থাকতো অনেক বাড়ি, গাড়ি আর একাধিক স্ত্রী। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :