ডেস্ক রিপোর্ট: হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু ও পরিচালনা পরিষদে বড় রদবদলের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে যথারীতি মাদ্রাসার সকল বিভাগের পাঠদান আরম্ভ হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত দিনক্ষণ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়েছে হাইআতুল উলয়ার পরীক্ষাও। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাত্র বিক্ষোভের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠেনি এমনটা দাবি করলেও মাদ্রাসার পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা শিক্ষকরা তা অস্বীকার করেছেন।
সূত্র জানায়, আল্লামা শফীর মৃত্যু পরবর্তী দাফন শেষে মাদ্রাসার মজলিসে শূরার সদস্যদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী পরদিন ক্লাস শুরুর কথা ছিল। তবে সাম্প্রতিকালে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক বহিষ্কারসহ নানা কারণে মাদ্রাসার ক্লাস শূরার সদস্যদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী আরম্ভ করা সম্ভব হয়নি।
তাই গত দুই দিন মাদ্রাসার শিক্ষকরা অ্যাকাডেমিক নানা বিষয় নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে সব বিভাগের ক্লাস শিক্ষকদের মাঝে পুনর্বন্টন সম্পন্ন করেছে। ফলে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে যথারীতি মাদ্রাসার সব বিভাগের শ্রেণি কক্ষের পাঠদান শুরু করা গেছে।
মাদ্রাসার মেশকাত জামাতের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমদ এ প্রতিবেদককে জানায়, হুজুরের মৃত্যুতে তারা এখনও শোকাহত। তবুও শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহনে যেতে হয়েছে। কারণ এর আগে করোনাকালীন সময়ে তাদের ক্লাস সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এতে করে তাদের পড়াশুনার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে মাদ্রাসায় ছাত্র বিক্ষোভের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠেনি বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশ না শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী।
তারা জানায়, অজানা এক ভয় ও আতঙ্ক নিয়েই তারা স্বাভাবিক অবস্থায় মাদ্রাসায় ফেরার চেষ্টা করছেন। তবে মাদ্রাসার পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা শিক্ষকরা তা অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীদের ভয় ও আতঙ্কে থাকার কোন কারণ নেই।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ও হেফাজতে ইসলামের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরীর সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়।
তিনি মোবাইলে এ প্রতিবেদককে জানান, মাদ্রাসার পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি শান্ত রয়েছে। হাইআতুল উলয়ার পরীক্ষা তথা দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার থেকে যথানিয়মে মাদ্রাসার সব বিভাগের ক্লাস শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দুই দিনের ছাত্র বিক্ষোভে কার্যত অচল হয়ে পড়ায় যে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছিল, মজলিসে শূরার বৈঠক ও আনাস মাদানীর অব্যাহতির পর তা কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
এর মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় আল্লামা শফীর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশের মতো হাটহাজারীতেও নেমে আসে শোকের ছায়া।যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :