নূর মোহাম্মদ : [২] আট বছর বয়সি স্কুলছাত্রী হত্যার অভিযোগে করা মামলায় কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবিরকে ২০০৬ সালের ৫ এপ্রিল বিচারিক আদালত মৃত্যুদণ্ড দেন। ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেন হুমায়ুন। মঙ্গলবার আপিল মঞ্জুর করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
[৩] হুমায়ুনের পক্ষে থাকা রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এ বি এম বায়েজিদ বলেন, এ মামলায় ক্রেডিবল সাক্ষী ছিল না। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেখানে ছিলেন। অথচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিচারের সময় জেরা করা হয়নি। এছাড়া হুমায়ুন কবির তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন শিশুটি তার খালাতো বোনের মেয়ে। কিন্তু শিশুটির বাবা সাক্ষ্যে বলেছেন তিনি হুমায়ুনকে চেনেন না। আবার শিশুটির মাকেও এ মামলায় সাক্ষী করা হয়নি। ফলে এখানে সন্দেহ রয়ে গেছে।
[৪] মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৩০ জুন প্রথম শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর ওইদিনই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুটির চাচা মো. জসীম উদ্দিন। ৪ জুলাই ট্রাকচালক হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিনই জঙ্গলের ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :