বিশ্বজিৎ দত্ত: [২]বাজারে পেঁয়াজের মূল্যসহনীয় করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি পর্যায়ে শুল্ক মওকুফের জন্য রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু দেশিয় পেঁয়াজ চাষিদের স্বার্থ বিচেনায় নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছিল।পরে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গেলে। প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজের শুল্ক কমানোর জন্য এনবিআরকে নির্দেশ দেন।
[৩] ২০২০-২১ সালের বাজেটে প্রথম বারের মতো পেঁয়াজসহ কয়েকটি কৃষি পণ্য আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।এ ছাড়াও আমদানি পর্যায়ে ২ শতাংশ অগ্রীম আয়কর যুক্ত করা হয়। স্থানীয় পর্যায়েও পেঁয়াজ সরবরাহে ২ শতাংশ অগ্রীম আয়কর প্রদান করতে হয়। বর্তমানে শুল্ক ও আয় কর মিলে পেঁয়াজে মোট রাজস্ব রয়েছে ৭ শতাংশ।
[৪] আমদানিকারকরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। তবে ভারত থেকে আসা ২০ হাজার টন পেঁয়াজে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। এ বিষয়ে এনবিআরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রজ্ঞাপন জারীর দিন থেকে শুল্ক মওকুফ প্রযোজ্য। ভারতের পিঁয়াজ প্রজ্ঞাপনের আগেই এলসি করেছে। সুতরাং তাদের বেলায় শুল্ক সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
[৫] ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্টার্স এসাসিয়েশনের আঞ্চলিক চেয়ারম্যান সুশীল পাটোয়ারি জানান ভারতে থেকে প্রায় ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ গত এক সপ্তাহ আগেই বাংলাদেশের বর্ডারে পৌঁছেছে বা পথে রয়েছে।
[৬] দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ টন। উৎপাদন হয় ২৪ লাখ টন। আমদানি হয় ১ লাখ টন। ভারত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করায় দেশে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :