মনির হোসেন: [২] রামগঞ্জ পৌরসভার থানা সড়কসহ বেশীর ভাগ সড়কে খানাখন্দ তৈরী হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে জন দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। একটু বৃষ্টিতেই সড়কগুলো কাঁদা পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ বেহাল দশা বছরের পর বছর ধরে চললেও পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এতে পৌরবাসীর মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
[৩] সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, খোদ রামগঞ্জ থানা সড়ক থেকে রামগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক পর্যন্ত বিশাল গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সৃষ্ট ছোট-বড় গর্তে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। একটু বৃষ্টি হলেই খানাখন্দ পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে বেশীর ভাগ সময় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে থাকে।
[৪] স্থানীয়রা জানান, রামগঞ্জ শহরে ১৮/২০টি প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে মুমুর্ষ রোগীদের স্থানান্তরে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রামগঞ্জ পৌরসভার দক্ষিনে পাশেই রয়েছে সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা পরিষদ সড়ক।
[৫] এ সড়কের অবস্থা আরো নাজুক। রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও রামগঞ্জ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ সরকারি হাসপাতাল এবং উপজেলা পরিষদে সাধারন জনগনের যাতায়তের জন্য সড়কটি ব্যবহার হয়ে থাকে। রামগঞ্জ থানা সড়ক, রেজিষ্টারী অফিস সড়ক ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের এমন বেহাল অবস্থা যে, সামান্য বৃষ্টি হলেই লোকজনকে হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট-কাপড় উঠিয়ে চলতে হয়।
[৬] রামগঞ্জ সোনাপুর কলা বাজারে সড়কের অবস্থা ও বেহাল। বর্তমানে সড়কটি ব্যবসায়ীদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িছে। পৌর সভার এরশাদ হোসেন সড়ক ও শ্রীপুর পাটওয়ারী বাড়ির সড়কের একই অবস্থা। স্থানীয় বলেন, এ ব্যাপারে জনগণের পক্ষ থেকে সড়কগুলো মেরামতের জন্য স্থানীয় সাংবাদিকরা একাধিকবার জাতীয় পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করলেও তেমন কিছু হচ্ছে না। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :