আহসান হাবিব: আজ বলবো ম্যানিপুলেশন নিয়ে। এর সহজ বাংলা অর্থ হচ্ছে ‘বাগড়া দেওয়া’। আমরা জানি আমাদের শরীর যেকোনো কাজ করে তার সুনির্দিষ্ট মাংসপেশীর সমন্বয়ের মাধ্যমে। যেমন আমরা যদি কোনোকিছু গলাধকরণ করি, তাহলে এর সঙ্গে জড়িত মাংসপেশী সেই ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে এবং কাজটি সমাধান করবে, কিন্তু যদি এই সময় আপনি কথা বলেন কিংবা হেসে ওঠেন, গলাধকরণ বাধাগ্রস্ত হবে, হয়তো আপনি বিষম খাবেন এবং খাদ্যকণা শ^াসনালীতে ঢুকে যেতে পারে। ঠিক তেমনি আমরা যখন ধ্বনি উৎপাদন করি, তখন এর সঙ্গে জড়িত থাকে সুনির্দিষ্ট মাংসপেশীসমূহ, বাইরের মাংসপেশীর সাহায্য ছাড়াই এই কাজ তারা করে। কিন্তু এই সময় যদি আমরা অন্য মাংসপেশীর সাহায্য নিয়ে ফেলি, যেমন আগেই বললাম ঢোক গেলা, কোনোকিছু চিবুনো, হাই তোলা ইত্যাদি, তাহলে ধ্বনির রঙ বদলে যাবে। আবার যখন আমরা এই ধ্বনিকে বর্ণে বা শব্দে রুপ দিই, তখন এর সঙ্গে যুক্ত থাকে আলাদা মাংসপেশি।
ধ্বনি উৎপাদন, কথা বলা, হাই তোলা, গলাধকরণ, চিবুনো, হাসা ইত্যাদির জন্য আছে আলাদা আলাদা মাংসপেশি। ধ্বনি উৎপাদনের সময় যদি এরা সাহায্যের নামে ঢুকে পড়ে, অনধিকার চর্চা হয়ে পড়ে, ফলে ধ্বনি বেঁকে যায় । আমরা অনেক সময় যে কোন ধ্বনিকে নাকি করার জন্য বাতাসকে নাকের মধ্য দিয়ে জোর করে ঢুকিয়ে দিই, এখানে তখন গলবিল মানে ফ্যারিংস এবং এপিগ্লটিস ( এপিগ্লটিস এমন একটা অঙ্গ যা খাদ্যনালী এবং শ্বাসনালীকে আলাদা রাখে যাতে কোন খাদ্যকণা বা বাতাস ভিন্ন পথে না যায়) বদলে যায় এবং ধ্বনি উৎপাদনের স্বাভাবিকতায় বাগড়া দেয়। তো বন্ধ্যরা, কোনো ম্যানিপুলেশন ছাড়াই ধ্বনি উৎপাদন করুন, কথা বলুন, হাসুন এবং গান করুন । হ্যাপি সিঙ্গিং। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :