শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:২৭ দুপুর
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফিরোজ আহমেদ: বিজন শীলের বিদায়ের সংবাদটাতে কবিতাটার অনুভূতিটাই সমস্ত চিন্তাকে গ্রাস করছে

ফিরোজ আহমেদ: বিজন শীল আবারও চলে যাচ্ছেন সিঙ্গাপুরে। দুনিয়ার যেকোনো দেশ হয়তো তাকে অনুরোধ করতো সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে দেশে থাকতে, আমরা প্রায় একপ্রকার খেদিয়ে দিলাম মানুষটাকে। এই দৃশ্যে একজন তরুণের অনুভূতি কী হতে পারে? জানি না। তবে পারিপাশের্^র প্রতি হতাশা বিষয়ে তিন ভাষার তিনটি উদাহরণ তুলে দিলাম, তুলনা করবার জন্য। প্রথমটা ঊনিশ শতকের জার্মান, দ্বিতীয়টা গত শতকের দশকের ক্যারিবীয়, তৃতীয়টা দেশি, ঠিক আমাদের এই সময়ের। অনুভূতির উদ্ধৃত অংশগুলো প্রায় একই, বাকিটুকু আলাদা। প্রথমটাতে তাঁতীরা মাতৃভূমিকে অভিশাপ দিচ্ছে রাষ্ট্রটাকে বদলে ফেলার শপথে, দ্বিতীয়টাকে তো শেরিফটাকে খুনই করে ফেলেছে, তৃতীয় কবিতাটাই এইটুক্,ু ওই দুই পঙ্ক্ত। কারণ হয়তো ওইটুকু প্রতিস্পর্ধী চেতনাও চারপাশে হাজির নেই, ফলে কবির চোখেও তার কোনো প্রতিফলন নেই। অনুমান মাত্র।

জার্মান। ঊনিশ শতক। "A curse to the Fatherland, whose face is Covered with lies and foul disgraces; Where the bud is crushed as it leaves the seed, And the worm grows fat on corruption and greed — We weave, we are weaving!" ক্যারিবীয়। ১৯৭০। Sheriff John Brown always hated me For what I don't know Every time that I plant a seed He said, "Kill it before it grows" He said, "Kill it before it grows"

বাংলা। ‘একেকটা দিন, কতো সম্ভাবনাহীন, এখানে ফুরিয়ে যায়, জন্মের আগেই মৃত পাখি, ওই উড়ে যাচ্ছে তার জানাজায়!’ বাকি দুটোর মতোই আমি বাংলা কবিতাটারও একটা গানের সম্ভাবনা দেখি। ভেবেছিলাম তিনটা নিয়েই অন্য একটা আলোচনা করবো, একটা ভাষার শব্দের সীমাবদ্ধতা সঙ্কট কতোখানি নির্ধারক, কিভাবে ইতিহাসের যুগে যুগে কবি আর অনুবাদকরা সেই সঙ্কটকে অতিক্রম করে ভাষাকে নতুন স্তরে নিয়ে যান নতুন একেকটা অনুভূতি প্রকাশের বাহন হিসেবে, সেই বিষয়ক আমার পুরনো একটা প্রিয় প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে। কিন্তু বিজন শীলের বিদায়ের সংবাদটাতে কবিতাটার অনুভূতিটাই সমস্ত চিন্তাকে গ্রাস করছে। আর কোন দশকে এই ঘটনা ঘটতে পারতো না, মানুষের চিন্তা, ক্ষোভ, বিরক্তিকে এতোটা পাত্তা দেয়ার স্তরে শাসকরা কোন কালে ছিল না এই দেশে। একটাই ভরসা, কবিতাটা ‘হয়তো’ এখনো অসম্পূর্ণ আছে। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়