শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৭:৫৭ সকাল
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৭:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পিয়াজ রপ্তানি বন্ধে বিজেপি নেতারাও ক্ষুব্ধ

ডেস্ক রিপোর্ট: পিয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। শুধু বিরোধী দল নয়, ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতাকর্মীরাও মাঠে নেমেছেন। পিয়াজ চাষিরা বিক্ষুব্ধ। প্রতি কুইন্টাল পিয়াজ উৎপাদন খরচ ২ হাজার রুপি। কিন্তু এখন তারা পাচ্ছে, আটশ’ থেকে দেড় হাজার রুপি। করোনার কারণে চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। আর যখন সুযোগ এসেছে ভালো দাম পাওয়ার, তখন তাতে বাড়া ভাতে ছাই পড়লো। বাংলাদেশ সীমান্তে আটকে পড়া ২৫ হাজার টনের ৬০ ভাগ পিয়াজ গেছে মহারাষ্ট্রের নাশিক অঞ্চল থেকে।

সবাই মিলেই এটা বুঝতে পেরেছেন, পিয়াজ কূটনীতির হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত কেবল পথে পথে আটকে পড়া পিয়াজই শুধু বাংলাদেশে আসছে। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত। নাশিকের মানুষ বুঝে ফেলেছেন, বাংলাদেশের বাজার স্থায়ীভাবে হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি আছে। কারণ বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।

রাজ্যের পুরো পিয়াজ বাজার হয়ে উঠেছে অশান্ত। মহারাষ্ট্র টাইমস পত্রিকায় গতকাল গজানন জিরুওয়ান লিখেছেন, পিয়াজের দাম চড়ছে। রপ্তানি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। মহারাষ্ট্রের লাসাল গাও বিভাগের নাশিক জেলা ভারতের মোট পিয়াজের ৪০ ভাগের জোগানদাতা।

নাগার ডেটলাইনে মহারাষ্ট্র টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদিকে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে, পিয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। নাশিক জেলায় প্রতি কেজি এক নম্বর পিয়াজের দাম ৫১ রুপি। তবে এলাকায় ভেদে এক কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৪০ টাকায়। অবশ্য নাশিক এগ্রিকালচারাল মার্কেট কমিটিতে এক নম্বর পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫১ রুপি।

এই প্রতিবেদন বলেছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মহারাষ্ট্রের পিয়াজের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। আর সেটাই পিয়াজের দাম বাড়ার মূল কারণ। সরকারি তরফে বলা হচ্ছে, দেশে পিয়াজের ঘাটতির কারণে মূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য সামনে রেখে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পিয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলগুলো এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে। বিরোধী দল অভিযোগ এনেছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে পিয়াজের দাম পড়ে যাবে। কৃষক ন্যায্য দাম পাবে না। বিরোধী দলের নেতাকর্মী কেবল নন, ক্ষমতাসীন দলীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তারাও চাইছেন কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিক।

পত্রিকাটি লিখেছে, রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রভাব পড়তে শুরু করেছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। খুচরা বাজারে পিয়াজের দাম বেশি। আর সে কারণে চাষিরা মার্কেট কমিটির কাছে ভালো দামে পিয়াজ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে শুধু নাগার জেলাতেই ৬শ’ টন পিয়াজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত রোববার পার্লার এগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেট কমিটিতে অকশন হয়েছে এক নম্বর পিয়াজ ৫১ টাকা দরে। এ তথ্য দিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান প্রশান্ত। গত রোববার এই বাজারে ১৩,৩০০ পিয়াজের বস্তা জমা পড়ে। দুই নম্বর পিয়াজের কেজি ৩৪ থেকে ৪২ এর মধ্যে। রাজ্যের নিভাষা তালুকা এলাকায় গত শনিবার প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। নগর তালুকা এগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেট কমিটিতে এক নম্বর পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকা কেজি দরে। সেখানে দুই নম্বর পিয়াজ ১৫ থেকে ২৫ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে।
মহারাষ্ট্র টাইমসের রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, রাজ্যের বেশির ভাগ বাজারে রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের আগে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩২ রুপি। বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে গত কয়েকদিন ধরে সাধারণভাবে পিয়াজের মূল্যে কিছুটা নিম্নগতি লক্ষ্য করা যায়। রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জেনে অনেক স্থানে পিয়াজ চাষিরা পিয়াজ বিক্রির পরিমাণ কমিয়ে দেন। একইসঙ্গে দক্ষিণ ভারতে পিয়াজের চাহিদা বেড়ে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মহারাষ্ট্রে ছুটে আসেন পিয়াজ কিনতে। কিন্তু এলাকায় বৃষ্টি বেশি হওয়ায় বাজারে লাল পিয়াজ এর সরবরাহ কম ছিল। কিন্তু মহারাষ্ট্র ছাড়া পিয়াজ পাওয়ার অন্য বিকল্প নেই দক্ষিণ ভারতীয়দের সামনে। আবার আশঙ্কা করা হচ্ছে, আহমেদাবাদে আগামী অক্টোবরের শেষে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ১শ’ টাকায় উন্নীত হতে পারে।মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়