রাশিদুল ইসলাম : [২] ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনেয়ী বলেছেন, ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দামের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় প্রমাণ করেছে, তার দেশের দিকে চোখ তুলে তাকালে আগ্রাসী শক্তিকে ‘চরম মূল্য’ দিতে হয়। ইরানে প্রতিরক্ষা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যখন একটি দেশ আত্মরক্ষার চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে তখন যেকোনো আগ্রাসী শক্তি সেই দেশের দিকে চোখ তুলে তাকাতে দু’বার ভাবে। কারণ, ওই শক্তি জানে আগ্রাসন চালালে তাকে চরম মূল্য দিতে হবে। পারসটুডে
[৩] খামেনেয়ী বলেন, ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করে দেয়ার জন্য ইরাকের মাধ্যমে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিশ্বের তৎকালীন দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন হাতে হাত মিলিয়ে ওই যুদ্ধে ইরাককে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল। কিন্তু এতসব সত্ত্বেও ওই যুদ্ধে ইরানের নিশ্চিত বিজয় হয়।
[৪] তিনি বলেন, আট বছর সারাবিশ্বের সকল শক্তির সম্মিলিত পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে ইরাকের আগ্রাসী বাহিনী ইরানের এক বিঘত ভূমিও দখলে রাখতে পারেনি। অথচ এর আগের দুইশ’ বছরে ইরান যে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তাতেই পরাজিত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইরানের কাজার শাসক এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইরানের পাহলাভি শাসক নিজেদের নিরপেক্ষতা ঘোষণা করেন। কিন্তু তারপরও দুই যুদ্ধেই বিদেশি সেনা ইরানে অনুপ্রবেশ করে ও সাময়িকভাবে এ দেশকে দখল করে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন ও সোভিয়েত সেনারা তেহরানে দম্ভের সঙ্গে প্যারেড করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :