বিপ্লব বিশ্বাস: [২] আল-কায়দার দুই দুর্ধর্ষ জঙ্গি ভারতে থেকে বাংলাদেশ পালিয়ে আশার শঙ্কায় দেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে সর্তক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। পাশাপাশি র্যাব পুলিশ ও সর্তক অবস্থায় থেকে তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।
[৩] নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে আল-কায়দার দুই সদস্য বাংলাদেশ পালিয়ে আসতে পারে। এই শঙ্কায় সীমান্ত এলাকায় র্যাব পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতা আরো বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে ভারতের বিভিন্ন বাহিনীর সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ ব্যপারে সর্তকবস্থায় আছে র্যাব, পুলিশ।
[৪] ভারতের একটি পত্রিকার বড়াতে বলা হয়েছে গ্রেপ্তার আল কায়দা জঙ্গিদের জেরা করে পশ্চিমবঙ্গে আরও দুই জঙ্গির নাম উঠে এসেছে। এরা পালিয়ে পাশের একটি দেশে পালিয়ে যেতে পারে। মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা ছয় জঙ্গিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এই দুজনের খোঁজ পেয়েছে এনআইএ। নতুন দুজনের মধ্যে একজনের নাম আনসারি। সেও এদের মতই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এবার আরও দুই সন্দেহভাজনকে ধরার জন্য তদন্ত শুরু করেছে মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ।
[৫] ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে যে, আনসারি আল কায়দার শীর্ষ জঙ্গিদের মধ্যে একজন। তাঁদের ‘গজবাওয়া এ তুল হিন্দ’ নামে একটি হোয়াটসঅয়াপ গ্রুপও আছে, ওই গ্রুপে আনসারিও আছে বলে জানা গিয়েছে। ওই গ্রুপের মাধ্যমেই জঙ্গিরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখত। আনসারি ছাড়াও আরেকজন ছিল ওই গ্রুপে। তাঁরা বিভিন্ন সাঙ্কেতিক ভাষার মাধ্যমে ওই গ্রুপে একে অপরের সাথে কথা বলত। তদন্তকারী সংস্থা এবার সেই কোডওয়ার্ড গুলোকে ডিকোড করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
[৬] অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ছয় জঙ্গির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। তাঁদের করোনার পরীক্ষাও করানো হয়েছে। তাদের বিশেষ বিমানে করে দিল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[৫] আরেকদিকে, কেরল থেকেও তিনজন জঙ্গিকে নিয়ে দিল্লী রওনা দিয়েছে। আগামীকালের মধ্যে দিল্লীর পাটিয়ালা হাউস কোর্টে তোলা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :