শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৭:৩৬ সকাল
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৭:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মানিকগঞ্জের হাসপাতালে রোগীকে ধর্ষণ, তদন্ত কমিটি গঠন

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: [২] সাটুরিয়ায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক সপ্তাহ আগে এই ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি গোপন রেখেছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে নির্যাতনের শিকার তরুণীর পরিবার মুখ খুললে বিষয়টি জানাজানি হয়।

[৩] সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশীদ জানান, ডা. সাদিককে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে দুই কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

[৪] ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। হাসপাতালটি সিসি ক্যামেরাদ্বারা বেষ্টিত থাকলেও ধর্ষককে চিহ্নিত করা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলাও হয়নি।

[৫] নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর মা জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর তার মেয়ের জ্বর ও শরীর ব্যথা নিয়ে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে নার্সরা জানান ১২ সেপ্টেম্বর তাকে ছাড়পত্র দেয়া হবে।

[৬] ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে তার মেয়েকে বেডে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। পরে এক পর্যায়ে দেখেন বারান্দায় সঙ্গাহীন অবস্থায় মেয়ে পড়ে আছে। কাছে গিয়ে দেখেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ সময় ডাক্তার এবং নার্সদের ডেকে আনলে তারা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন ওই রাতে এক যুবক তাকে হাসপাতালের বেড থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

[৭] তরুণীর বাবা জানান, তিনি একজন ভ্যান চালক। ধর্ষককে চিনতে না পারায় এবং মান সম্মানের ভয়ে তিনি কোনো অভিযোগ করেননি। মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই তিনি চুপ রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ওই ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই ধর্ষককে চেনা যাবে।

[৮] এদিকে, এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালের ভিতরে রোগীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি গোপন রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ধর্ষককে শনাক্ত না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়