শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:২১ সকাল
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইমতিয়াজ মাহমুদ: প্রসঙ্গ আহমদ শফী, হাটহাজারী মাদ্রাসা

ইমতিয়াজ মাহমুদ: হাটহাজারিতে বেশ কয়েকটা মাদ্রাসা আছে, কিন্তু এই মাদ্রাসাটা বড় এবং নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত। আর সদ্যমৃত মৌলানা আহমদ শফি, তিনি নিজে এবং তাঁর সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এরাও আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নিজে এইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পছন্দ নাও করতে পারেন, কিন্তু আমাদের জাতীয় জীবনে এদের উপস্থিতি ও গুরুত্ব সে তো অস্বীকার করতে পারবেন না। এইরকম একটা মাদ্রাসায় দুই তিনদিন ধরে মারামারি চলল, ছেলেরা হুজুরদের আটকে রাখল, মওলানা রুহি সহ কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হল, ভাংচুর হল, কিতাবাদি নষ্ট করা হল- এইগুলি নিয়ে কোন টেলিভিশনে একটা বড় খবর হল না! এইটা কিরকম ব্যাপার হল বলেন তো? শুদ্ধ সংবাদের গুরুত্ব বিবেচনা করলে এইসব ঘটনা তো শিরোনাম হওয়ার মত খবর।

আমি যে কয়েকটা টেলিভিশন চ্যানেল দেখলাম, কেউই এইটা নিয়ে কোন রিপোর্ট করেনি। এর বাইরে যদি কেউ করেও থাকে, আমার সেটা চোখে পড়েনি। এইরকম তো সকলে মিলে একটা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ব্ল্যাকআউট কেন করলেন জানিনা- অনুমান করি স্বেচ্ছায় এরা এটা করেননি। টেলিভিশন চ্যানেল খুলে যারা খবরের ব্যাবসা করেন, এইরকম খবর ওদের কাছে তরতাজা গরমাগরম সিঙ্গারার মত, ওরা তো এইরকম ঘটনায় লাফ দিয়ে মাঠে নামার কথা। ওরা কেন ব্ল্যাকআউট করবেন। নিশ্চয়ই কেউ ওদেরকে অনুরোধ করেছে, বা পরামর্শ দিয়েছে বা নির্দেশনা দিয়েছে বা ভয় দেখিয়েছে। আমরা বিস্তারিত খবর আর পাচ্ছি না। যারাই করুন- এই কাজটা ঠিক হয়নি।

বড় বড় রিপোর্টার এডিটর যারা আছেন তাঁরা আমার চেয়ে ভাল জানার কথা, তথ্য লুকিয়ে সাধারণত দেশ ও জাতির কোন কল্যাণ হয় না। আর তথ্য লুকানো এটা তো এক ধরনের অসততাও বটে- তাই না? আমরা টেলিভিশন খুলি, আপানদের চ্যানেলে টিউন করি খবর দেখব বলে, আর আপনারা যদি পেঁপে চাষের অসামান্য সাফল্য দেখিয়ে দায়িত্ব সারেন তাইলে কেমন হল ব্যাপারটা? তাইলে তো আমাদেরকে বলতেই হয় যে, এক বিটিভি লোকান্তরে কয়েক ডজন ঘরে ঘরে। সংবাদ আড়াল করতে থাকলে মানুষ গুজবের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে সেকথা কি আপনাদেরকে বলে বুঝাতে হবে? আপানরা পেশাদার সাংবাদিক, আপনারা তো এইসব শিখেছেন, পড়েছেন, লিখেছেন, বলেছেন- আপনারা তো আমাদের চেয়ে ভাল জানেন।

আজকে যারা দেশের শীর্ষস্থানীয় সম্পাদক, আপনারা বেশিরভাগই এরশাদ বিরোধী আন্দোলন প্রত্যক্ষ করেছেন। অনেকে অংশও নিয়েছেন, পেশাগত দায়িত্বের বাইরে গিয়ে রাস্তায়ও নেমেছেন। সেই আন্দোলনে যেসব তরুণ সাংবাদিক কাজ করেছেন, যাদের রিপোর্ট ইত্যাদি পড়েছি তাদের অনেকেই এখন দেশের তারকা সাংবাদিক। আপনারা ভুলে গেলেন সেই আন্দোলনের কথা? প্রেসের স্বাধীনতা, প্রেসের দায়িত্বশীলতা, সেই সাথে বিটিভির অটনমি- এইসব কথা কি তখন হয়নি? মনে নেই আপনাদের?

নাহ, কাজটা ভাল হয়নি। আমাদের জন্যেও না, দেশের জন্যে তো নয়ই, এমনকি আপনাদের জন্যেও না। শুধু এই খবরটার কথা বলছি না, এইরকম চললে আপনাদেরও ক্ষতি। কেননা এইসব কারণে লোকে মনে আপনাদের বিশ্বাসযোগ্যতা চলে যাবে। আপনারা খবর পড়বেন আর লোকে হাসবে। শেষ পর্যন্ত খবরের জন্যে আমাদের ঐ সেই বিবিসি বাংলা আর ভয়েস অব আমেরিকাই শুনতে হবে!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়