ওমর ফারুক: [২] থাইল্যান্ডে অবস্থিত একটি ছোট দ্বীপ। যেখানে নেই কোনো সমতলভূমি। চারিদিকে পানি আর ছোট ছোট চুনা পাথরের পাহাড়।
[৩]এখানকার বাসিন্দারা মূলত মৎস্যজীবী। তাদের আয়ের মূল উৎস মাছ ধরা এবং পর্যটকদের সাহায্য করা। [৪]১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার সেই ঝড়ো ফুটবলের মুহূর্ত দেখে অনুপ্রাণীত ভাসমান এই গ্রামের যুবকেরা। তারা নেমে পড়েন ফুটবল খেলা শিখতে। যেহেতু তাদের সমতলভূমির অভাব রয়েছে এজন্য তারা পানির উপরেই খেলা শেখার বন্দোবস্ত করে।
[৫]পানইয়ে দ্বীপ মাঠ তৈরি করার মতো তেমন কোনো জমি নেই। তবে এই জমির অভাব তাদের জন্য বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। জমি যখন নেই তখন পানিতেই হবে ভাসমান মাঠ।
[৬]এমন ভাবনায় কিশোর-যুবকদের একটা দল নেমে পড়ে বিশ্বের প্রথম ভাসমান মাঠ তৈরি করতে।
[৭]প্রথমে পুরনো কাঠ জোগাড় করা হয়। তারপর পানির মধ্যে খুঁটি পুঁতে তৈরি হয় মাচা। সেই মাচাতেই তৈরি হয় মাঠ। তখন সমস্যা ছিল প্রচুর আনাড়ি হাতে তৈরির কারণে পেরেকের খোঁচার আঘাতে অনেকেই আহত হন। এইভাবে কেটে গেছে ৩০ বছরেরও বেশি সময়। তারপর পুরনো সেই কাঠের মাঠ ভেঙে ওই পানিতেই প্লাস্টিকের ড্রাম এবং রাবার ফোম ব্যবহার করে নতুন করে তৈরি করা হয়।
[৮]এখানকার বাসিন্দাদের একটাই চাওয়া। যাকে দেখে তারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই ভাসমান মাঠ তৈরি করেছেন। সেই ম্যারাডোনার পায়ের ধুলি যেন তাদের মাঠে পড়ে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :