জেরিন আহমেদ: [২] সেনা সূত্রে খবর, পাক মুদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য ছিল এই তিনজন। তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। খবর দি ওয়াল
[৩] জম্মুর আইজিপি মুকেশ সিং, জঙ্গিদের থেকে দুটি একে-৫৬ রাইফেল, দুটি পিস্তল, চারটে গ্রেনেড এবং নগদ এক লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রশস্ত্রের সরঞ্জাম দেখে অনুমান, বড়সড় কোনও পরিকল্পনা ছিল এই ৩ লস্কর জঙ্গির। তাঁদের উদ্দেশ্য জানতে ইতিমধ্যেই ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। তারা কোথা থেকে কীভাবে রাজৌরিতে এল, এত আগ্নেয়াস্ত্রই বা এল কোথা থেকে সেইসব জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে এই অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।
[৩] কুপওয়ারা জেলার দ্রুগমুল্লা এলাকা দিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিল ওই দুই জইশ জঙ্গি। সেই সময়েই তাদের গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তবাহিনী। জানা গিয়েছে, ওই গাড়ি থেকে একে-৪৭ রাইফেলের পাশাপাশি ২টো গ্রেনেড, গোলা-বারুদ-বুলেট, নগদ ৭ লক্ষ টাকা এবং আরও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। উপত্যকায় জইশ-ই-মহম্মদের নতুন করে বড়সড় কোনও নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত ২ জইশ জঙ্গিকে জেরাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
[৫] এর আগে গত সপ্তাহে ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলা থেকে গ্রেফতার হয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদের দুই জঙ্গি।
[৬] এছাড়াও গত ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বন্দিপোরা জেলায় কৃষ্ণগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হয়েছিল হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর দুই জঙ্গির দেহ। নিরাপত্তাবাহিনীর অনুমান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের সময় গুরেজ সেক্টরে এলাকায় মালানগম তুলাইল গ্রামের কাছে সম্ভবত নদীতে ডুবে গিয়েছিল এই দুই জঙ্গি। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয় এই দুই জঙ্গির মধ্যে একজনের নাম সমীর আহমেদ ভাট। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার দাঙ্গেরপোরা এলাকার বাসিন্দা সে। অন্যজন নিসার আহমেদ রাথের। এই জঙ্গিও পুলওয়ামার ত্রাল এলাকার দাদসারা অঞ্চলের বাসিন্দা। সূত্র: ওয়াল, টাইমস নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :