শাহানুজ্জামান টিটু : [২] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ভিন্নমতের জন্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একেএম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কিন্তু কেনো? তারা কি কোনো অন্যায় করেছে? দুর্নীতি করেছে? তাদেরকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন রয়েছে সেই আইনের মধ্যে কী তারা পড়েছে?
[৩] রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমানের বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন সেজন্য ড. মোর্শেদেক চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এটাই হচ্ছে অপরাধ। অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ফেসবুকে লিখতেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হলো।
[৪] তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্বশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার একটি আলাদা স্বাধীনতা আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এতই মোসাহেব হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সাহেব এতই পা-চাটা হয়েছে যে, তিনি ড. মোর্শেদকে চাকরিচ্যুত করার ব্যাপারে আইন-কানুনের তোয়াক্কা করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আইনে ড. মোর্শেদ ও ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা যায় না। চাকরিচ্যুত করা যায় একমাত্র শেখ হাসিনার চোখ রাঙানিতে, শেখ হাসিনার ধমকানিতে, তার হুমকিতে। এজন্যই ড. মোর্শেদ ও ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করেছে ঢাবি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।
[৫] শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে রিজভী একথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একেএম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ফিউচার অব বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।
[৬] সংগঠনের সভাপতি শওকত আজিজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম। সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফয়সাল প্রধানের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন জামাল হোসেন, কেজি সেলিম, সোহেল খান, রেজাউল হোসেন অনিক, পাভেল মোল্লা, আলআমিন হোসেনসহ অনেকে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :