সমীরণ রায় : [২] কোভিড-১৯’র বিস্তার জাতিসংঘের প্রক্রিয়ার দুর্বলতাকে উন্মোচিত করেছে। কয়েকটি দেশের বৃত্ত থেকে বের হয়ে ‘জনগণের জাতিসংঘে’ পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে হতাহতের বিষয়ে জাতিসংঘের ব্যর্থতার পরও বাংলাদেশ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সংস্থার ম্যান্ডেটের প্রতি অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এবং সবচেয়ে জটিল পরিবেশে শান্তিরক্ষী মোতায়েনে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত তৈরি রয়েছে।
[৩] শুক্রবার রাতে বাংলাদেশে জাতিসংঘের দফতর ও নর্থ সাউথ বশ্বিবদ্যিালয় সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস) আয়োজিত ‘জনগণের প্রয়োজনের সময়ে জাতিসংঘ: বহুপক্ষীয় ব্যবস্থা নিয়ে পুনর্ভাবনা’ শীর্ষক দুই দিনের আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
[৪] নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, জাতিসংঘকে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়া থেকে উদ্ধারের স্বার্থে সরকার আর নাগরিক সমাজের সহযোগিতা এখন সময়ের দাবি। মহামারির ফলে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা আর অস্বস্তির পরও অধিকাংশ মানুষ এখনও জাতিসংঘ আর আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় আস্থা রাখতে চান।
[৫] পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বছরের পর বছর ধরে জাতিসংঘের প্রতি আমাদের আস্থা কমছে। রোহিঙ্গা জনগণের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ সফল হয়নি। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সারা পৃথিবীর মানুষের সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।
[৬] পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, অর্জন আর অঙ্গীকারের দিক থেকে বিবেচনা করলে জাতিসংঘের পোস্টার চাইল্ড হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশ। বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার প্রতি যে আস্থা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই পথেই রয়েছেন। জাতিসংঘের প্রক্রিয়ার বাইরে থাকা কোটি কোটি মানুষের কাছে সংস্থাটির পৌঁছানোটা জরুরি।
[৭] অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গর্ভনেন্সের (এসআইপিজি) সিনিয়র ফেলো শহীদুল হক।
আপনার মতামত লিখুন :