মহিবুল হাসান চৌধুরী: বাংলাদেশে সমালোচক/বিশ্লেষক যারা আছেন, তাদের সমালোচনা আলোচনা কেউ চ্যালেঞ্জ করলেই অভিযোগ করেন এটা অসহিষ্ণুতা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা উঠলে তার ‘হার’ অর্থাৎ রেট নিয়ে তারা ব্যাপক প্রশ্ন তুললেন, কিন্তু পাল্টা যুক্তির কোনো উত্তরও দিলেন না। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা এদের মতো নানান বিদেশি উন্নয়ন সহযোগিরা বললে এটা আর প্রকাশ পায় না। একটি পত্রিকা এক উদ্ভট সূত্র দিয়ে বললো, জরিপ চলে বাংলাদেশে পেন্সিল দিয়ে, এর মাধ্যমে বোঝাতে চাইলো এটা মুছে দিয়ে হার বা রেট বসিয়ে দিয়ে ব্যাক ক্যালকুলেশন করা হয়। তা এই হিসাব ভুল হলে আপনারাও হিসাব করে দেখিয়ে দিন গড়মিল?
আমি বলছি না সরকারি পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব একেবারেই নির্ভুল, পরিসংখ্যানের অনেক বিষয়ে অনেক প্রশ্ন সারা পৃথিবীতেই আছে। হিসাব-কিতাব এতো নির্ভুল থাকলে পৃথিবীতে কোনো মন্দাই আসতো না! যদি অর্থনীতিতে যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের দেশকে হিমসিম খেতে হয়, এগুলো নিয়ে নীতি সুপারিশ করলে সবাই উপকৃত হতো। শুধু ডোনার ফান্ড নিয়ে সেন্টার খুললেই হয় না, পলিসি ডায়লগ দ্বিপাক্ষিক হয়। যদি হয় একপক্ষ গাল দেবে, আরেক পক্ষ স্বাভাবিকভাবেই আর শুনতে চাইবে না। কিন্তু সবকিছু সহ্য করার ক্ষমতা শেখ হাসিনা সরকারের আছে, তাই শোনার দরজা যেমনি সবসময় খোলা থাকবে, বলার মাইকও সবসময় উন্মুক্ত থাকবে। কারণ জনগণের ভালোবাসা আর সততার শক্তিই, তার নেতৃত্বের চাবিকাঠি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :