সাদ্দাম হোসেন: [৩] বৃহস্পতিবার রাতভর গ্রামের আখড়ায় পুঁতে রাখা কারাম (খিল কদম) ডালকে ঘিরে নাচ-গান অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকালে আখড়া থেকে কারাম ডাল উঠিয়ে গ্রামের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের নারী-পুরুষ নেচে-গেয়ে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে শেষে গ্রামের পুকুরে বিসর্জন দেয়।
[৪] প্রতিবছর ভাদ্র মাসে আদিবাসীদের মঙ্গলের প্রতীক কারাম গাছকে ঘিরে ওঁরাও, মুণ্ডাসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এ উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে থাকে।
[৪] সদরের পাঁচপীরডাঙ্গা গ্রামে সন্ধ্যার পর পূর্জা আরচনা শেষে পরিবারের স্বজনদের নিয়ে বাড়ির উঠুনেই সমান তালে হাত পায়ের দোলনে মুখরিত হয়ে উঠে আদিবাসিদের কারাম উৎসব। সদরের পাঁচপীরডাঙ্গা গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পূর্জা আরচনা শেষে পরিবারের স্বজনদের নিয়ে বাড়ির উঠুনেই সমান তালে হাত পায়ের দোলনে মুখরিত হয়ে উঠে আদিবাসিদের কারাম উৎসব।
[৫] আর এ কারাম উৎসবকে ঘিরে সালন্দর ইউনিয়নের আশপাশের গ্রাম জামুরীপাড়া, মজাতিপাড়া, তেলিপাড়াসহ ৫টি গ্রামের মানুষ তাদের নাচ দেখতে ভিড় জমায়। দীর্ঘ সময় তাদের এমন অসাধারণ নৃত্য দেখে খুশি স্থানীয়রা। এর আগে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের সৌহার্দপুর্নভাবে বরণ করেন আদিবাসি মেয়েরা।
[৬] জেলা আদিবাসি পরিষদের তথ্যমতে,জেলায় একযোগে ৯টি স্থানে এ কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আর জেলায় ৬৮ হাজার আদিবাসি সম্প্রদায়ের বসবাস। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :