লিহান লিমা: [২] চলমান বিক্ষোভের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করে পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করেছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। গত ২৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা একনায়ক প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে গত ৯ আগস্টের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে এনে পদত্যাগের দাবী করছেন বিক্ষোভকারীরা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয় ইউনিয়নও লুকাশেঙ্কোর নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতির নিন্দা জানিয়েছে। আল জাজিরা/ইউরো নিউজ
[৩]লুকাশেঙ্কো দাবী করছেন, নির্বাচনে তিনি ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছেন। অন্যদিকে বিরোধীরা বলছে, ফলাফল কারচুপি করা হয়েছে। লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ‘আমরা রাজপথ থেকে সৈন্য সরিয়ে নেবো, সেনাবাহিনীকে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে পশ্চিমা সীমান্তে, প্রাথমিকভাবে লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডে সীমান্তে এটি কার্যকর করা হবে।’
[৪]তিনি আরো জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে থাকা বেলারুশের সীমান্ত্ও শক্তিশালী করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না আমার দেশ যুদ্ধে জড়াক। আমি কোনোভাবেই চাই না পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার সামরিক হুমকির মধ্যে বেলারুশ পড়ুক, যাতে কি না আমাদের সমস্যার আদৌ সমাধান হবে না।’ লুকাশেঙ্কো পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও ইউক্রেনের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের উন্মাদ রাজনীতিবিদদের থামান, যুদ্ধ হতে দেবেন না।’
[৫]এর আগে বৃহস্পতিবার লিথুয়ানিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া বিরোধী দলীয় নেত্রী শ্বেতলানা তিখানোভস্কায়া জানান, অধিকার কর্মীরা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের একটি তালিকা তৈরি করেছে, যারা কি না বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতা ও নির্বাচনে জালিয়াতিতে জড়িত ছিলেন। এই তালিকা শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও রাশিয়াকে দেয়া হবে।’
[৬] বেলারুশে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিদেশী সাংবাদিকদের অনুমতিপত্র বাতিল করা হয়েছে এবং বিরোধী দলীয় নেত্রীদের দেশ থেকে বহিষ্কার বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :