ফিরোজ আহমেদ: মধুপুরে বাসন্তীর কলাবাগান কেটে সাবাড় করেছে বনবিভাগ। এতো সহজে কেন পারা গেলো? কারণ বাসন্তী একজন আদিবাসী মান্দি। বনের যারা বাসিন্দা, যাদের সাথে মিথ্ষক্রিয়ায় অঞ্চলের প্রকৃতি ও উৎপাদনশীলতা এবং সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তারা সেই জায়গাটুকুর আদিবাসী। বাংলাদেশের বনবিভাগ প্রায়ই এই আদিবাসীদের ওপর নিপীড়নে নেতৃত্ব দেয়। সবলের জায়গাটুকু কেড়ে নিয়ে তুলে দেয় ক্ষমতাবান ভূমিদস্যু বাঙালির হাতে। পরিচয়ের দিক দিয়ে যে যতোটা লঘু, তার ওপর নিপীড়নের সম্ভাবনা ততো বেশি, আদিবাসী হলে সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য তাই।
গোটা দেশ জুড়ে এই রকম অজস্র সংবাদ দেখতে থাকি। আদিবাসীর সামান্য জমি কেড়ে নিয়ে বাঙালীর সমস্যা সমাধান হবে না। বাকি দেশের বনভূমি আমরা রক্ষা করতে পেরেছি কতোটুকু, যেখানে আদিবাসী নেই? কিন্তু আদিবাসীদের সাথে সাম্য ও মর্যাদার ভিত্তিতে আচরণ কেবল এইটুকুই প্রমাণ করবে যে, বাঙালিরাও পরস্পরের সাথে সুস্থ ও স্বাভাবিক আচরণ করতে পারছি। এই নির্দয় কাজের প্রতিবাদ জানাই। বন রক্ষা করতে হবে, বনবাসীর অধিকারও রক্ষা করতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :