শেখ রোকন: আমার মতে, বাংলাদেশেরই উচিত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করা। সীমান্ত সিল করে দেওয়া, যাতে করে চোরাচালানেও পেঁয়াজ না আসতে পারে। তাহলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়ে চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে যে ২৫ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে, তা প্রয়োজনের তাগিদেই পুরণ হবে। এক-দুই মৌসুম টানাটানি যাবে; উপযুক্ত মূল্য পেয়ে কৃষকই উৎপাদন বাড়িয়ে দেবে এবং দুই-তিন বছরের মধ্যে চাহিদার সমান বা বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হতে থাকবে।
একসময় আমাদের মাংসের বাজার ভারতীয় গরু-নির্ভর ছিল। ভারত যখন ‘ রপ্তানি’ বন্ধ করেছে, ক্রমে আমাদের দেশীয় খামার গড়ে উঠেছে এবং চাহিদা অনুযায়ি গরু সরবরাহ করছে। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধও এভাবে শাপে বর হতে পারে। মনে রাখতে হবে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় মহারাষ্ট্রে এখনই পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করছে। কিন্তু সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমাদের প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। ভারতীয় পেঁয়াজ ভারতীয়রা ভর্তা করে খাক। আমাদের কৃষক ভাত, মাছ, সবজী উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারলে পেঁয়াজে পারবে না কেন? প্রতিবছর পেঁয়াজ-নাটক বিরক্তিকর। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :