শওগাত আলী সাগর: যে ট্রল করে তাকে কি আমরা ‘ট্রলার’ বলবো? জাতি হিসেবেই কি আমরা ‘ট্রলারে’ পরিণত হয়েছি? নাকি একটি প্রজন্ম ‘ট্রলার’ হয়ে গেছে! আগে আমরা সমাজে প্রতিবাদী একটি শ্রেণি দেখতে পেতাম। প্রতিবাদী কিছু মানুষ দেখতে পেতাম। এখন আর সেগুলো দেখা যায় না। এখন কোথাও প্রতিবাদ নেই, আছে ট্রল।
এই যে ধরনের সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের কথাই বলি। একেকটি রিপোর্ট হয়, আমরা সেগুলো নিয়ে ট্রল করি। পেঁয়াজ নিয়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যকার অবস্থাটা কি নিতান্তই ট্রলের বিষয়? এটি আন্তঃদেশীয় রাজনীতি কিংবা কূটনীতির বিষয় নয়? সরকারের কূটনৈতিক সক্ষমতার বিষয় নয়? আমরা সে সব প্রশ্ন তুলি না। জোড়ালোভাবে তো নয়ই। আমরা ট্রল করি।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে এই যে এতো কথাবার্তা, কখনো কোনো মিডিয়া কি একটি রিপোর্ট করেছে- এই সফরগুলো আদৌ হয়েছে কিনা, হয়ে থাকলে যারা গিয়েছেন তারা কী শিখে এসেছেন, সেই শিক্ষা কীভাবে দেশের উপকার হচ্ছে- এসব নিয়ে একটি রিপোর্টও কি হয়েছে? হয়নি। কেন হয়নি? কারণ মিডিয়াও ট্রল পছন্দ করে। তারাও ‘ট্রলার’ হতে চায়। যাত্রা পালায় একসময় বিবেক থাকতো, বিনোদনের জন্য কৌতূক থাকতো। এখন সমাজে ট্রল আছে, ‘ট্রলার’ আছে, আর কিছু নাই। এতে লাভ কী হয়! যাদের নিয়ে আমরা ট্রল করি, তারাও দর্শকের সারিতে বসে যায়- তারাও ভাবে ‘যাত্রা পালায় কৌতূক’ দেখছি। প্রতিবাদের উত্তাপটা তাদের গায়ে লাগে না। সরকারের গায়েও না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :