ইসমাঈল ইমু: [২] যুক্তরাজ্য থেকে ক্রয়কৃত পাঁচটি বিমানের মধ্যে তৃতীয় সি-১৩০জে বিমানটি যুক্তরাজ্য থেকে ফেরী ফ্লাইটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে অবতরণ করে। এই মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. আহসানুর রহমান। যাত্রাপথে বিমানটি কায়রো (মিশর) ও মাসকাট (ওমান) এ অবতরণ করে।
[৩] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকার বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে অত্যন্ত সচেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায়, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী অত্যাধুনিক ৫টি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ার ফোর্সের সঙ্গে ক্রয় চুক্তি এবং মার্শাল এ্যারোস্পেস এন্ড ডিফেন্স গ্রুপ এর সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে সংযোজনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
[৪] বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে ঐতিহ্যগত রীতি অনুযায়ি বিমানটিকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এসময় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন।
[৫] সবশেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এবিষয়ে ব্রিফ করেন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল এম আবুল বাশার। সি-১৩০জে পরিবহন বিমান অত্যাধুনিক এভিওনিক্স ও উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন পরিবহন বিমান যা মালামাল ও সৈন্য পরিবহনসহ দেশে এবং বিদেশে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহৃত হবে।
[৬] ক্রয়কৃত বাকি বিমানগুলি পর্যায়ক্রমে যুক্তরাজ্য হতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক এই সি-১৩০জে বিমানের অন্তর্ভুক্তি, বিমান বাহিনীর পরিবহন ক্ষমতা সর্বোপরি বাহিনীর সক্ষমতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে। অনুষ্ঠানে বিমান সদরের প্রিন্সিপাল ষ্টাফ অফিসার, বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু ও বাশার এর এয়ার অধিনায়ক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :