শাহীন খন্দকার : [২] করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মতো শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণকারী ভাইরাসগুলো তখনই ছড়ায় যখন চোখ, নাক বা গলার শ্লেষ্মার মধ্য দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা হাতের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা একথা জানালেন। তিনি বলেন, বিশ্ববাপী মহামারী আকারে যখন ভাইরাসটি ছড়ায় তখন এর বিস্তার রোধের সবচেয়ে সহজ, সাশ্রয়ী ও কার্যকর উপায়গুলো হলো ঘনঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া।
[৩] হাতকে পুরোপুরি ভাইরাস মুক্ত করতে হলে ঝটপট হাতে সাবান মাখানো ও আলতোভাবে ধুয়ে ফেলায় কাজ হবে না। কার্যকর হাত ধোয়ার পদ্ধতি প্রতিটি ধাপ নিচে উল্লেখ করা হল। প্রথম ধাপ: প্রবাহমান পানি দিয়ে হাত ভেজানো। দ্বিতীয় ধাপ: ভেজা হাতের পুরোটায় ভালোভাবে সাবান মাখানো। তৃতীয় ধাপ: অন্তত ২০ সেকেন্ড হাতের সামনের ও পেছন ভাগ, আঙ্গুলগুলোর মধ্যে ও নখের নিচের অংশ ভালোভাবে ঘষতে হবে। চতুর্থ ধাপ: প্রবাহমান পানি দিয়ে পুরো হাত ভালোভাবে কচলে ধুয়ে নিতে হবে। পঞ্চম ধাপ: পরিস্কার কাপড় বা শুধু এককভাবে ব্যবহার করা হয় এমন তোয়ালে দিয়ে হাত মুছে নিতে হবে। সেই সাথে অন্তত ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধোয়া উচিত।
[৪] হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলসমৃদ্ধ স্যানিটাইজার নিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড সময় ধরে তা হাতের পুরোটায় মাখাতে হবে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সময়গুলোতে হাত ধোয়া নিশ্চিত করতে হবে: নাক ঝাড়া এবং হাঁচি ও কাশি দেওয়ার পর। গণপরিবহন, বাজার বা উপাসনালয়ের মতো জনসমাগমস্থল ঘুরে আসার পর। ঘরের বাইরের কোনো কিছু স্পর্শ করে, এমনকি টাকা ধরার পরেও। কোনো অসুস্থ লোককে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেওয়ার আগে, নেওয়ার সময় এবং নেওয়ার পরে। খাওয়ার আগে ও খাওয়ার পরে।
[৫] এছাড়াও টয়লেট ব্যবহারের পরে। খাওয়ার আগে ও পরে। ময়লা-আবর্জনা হাতানোর পরে। বাইরের পশু-প্রাণি এবং গৃহপালিত পশু-পাখি ধরার পরে। শিশুর ডায়াপার বদলানো বা শিশুকে টয়লেট ব্যবহারে সহযোগিতা করার পরে। যখন হাত নোংরা দেখাবে বা নোংরা বলে মনে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :