শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৭:২১ সকাল
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৭:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সমতলের চায়ের দেশ পঞ্চগড়

নাজমুস সাকিব: [২] চা বাগান বলতেই সবার আগে যে বিষয়টি মাথায় আসে তা হল উঁচু টিলায় চা বাগান। ভাবাটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রথমদিকে দেশের সবগুলো চা বাগানই গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম, সিলেট ও মৌলভীবাজারের উঁচু টিলায়।

[৩] সেই ধারণাকে পাল্টে দিয়ে দেশের সমতল ভূমির চা বাগান গড়ে উঠেছে পঞ্চগড়ে। দেশের উত্তর জনপদের পঞ্চগড়ে চা চাষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ইতিমধ্যে চা শিল্পে পঞ্চগড় দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

[৪] পঞ্চগড়ে চায়ের গোড়াপত্তন হয় ১৯৯৬ সালে। সেসময় তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চগড় সফরে এসে চা চাষের সম্ভাবনার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাকে এক ধাপ এগিয়ে নেন ওই সময়ের জেলা প্রশাসক মো. রবিউল হোসেন। তার তত্ত্বাবধানে পরীক্ষামূলকভাবে চা চাষ করা হয়। প্রথমে টবে, পরে জমিতে চায়ের চাষ করা হয়। সে সফলতা থেকে পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চা উৎপাদন করা হয়। চা চাষে নিরব বিপ্লব ঘটে ২০০০ সালের দিকে। এই সময় তেঁতুলিয়া টি কোম্পানি ও কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেটসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান চা চাষ শুরু করে। চা বোর্ডের পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় এগিয়ে আসে স্থানীয় ক্ষুদ্র চা চাষীরা। বাগান মালিকদের পাশাপাশি তারাও চাষ করে চা।

[৫] দেশের বাজারসহ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করেছে পঞ্চগড়ের চা। এখানকার অর্গানিক চা বিক্রি হচ্ছে লন্ডনের হ্যারোড অকশন মার্কেটে। রপ্তানি হচ্ছে দুবাই, জাপান ও আমেরিকায়।

[৬] পঞ্চগড় চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্য মতে, পঞ্চগড়ে চা চাষ তেঁতুলিয়া ছাড়িয়ে বাকী ৪ টি উপজেলাতেও সম্প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে জেলার ১৬ হাজার একর জমি চা চাষের উপযোগী রয়েছে। এ পর্যন্ত চা চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে দুই হাজার ২৫৫ দশমিক ৫৫ একর জমিতে। চা চাষ করছে ১৮২ জন স্মল গ্রোয়ার্স যার জমি ৫ একরের নিচে, ৫ থেকে ২০ একরের মধ্যে স্মল হোল্ডার্স ১১ জন এবং ২০ একরের ওপরে ১৯টি টি এস্টেট। এসব চা বাগানে প্রায় ৫ হাজার নারী-পুরুষের কাজের সংস্থান হয়েছে।

[৭] বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট পঞ্চগড় উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞনিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, চা আবাদীর বিভিন্ন বিষয় যেমন প্লান্টিং, প্রুনিং, প্লাকিং, টিপিং, সার প্রয়োগ, রোগ-বালাই দমন সম্পর্কে নিয়মিত চাষীদের নিয়মিত দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে উপকেন্দ্রটি আরো সমৃদ্ধ করতে ও দক্ষ জনবল বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়