লিহান লিমা: [২] অক্সফাম বলছে, সম্ভাব্য কোভিড-১৯ এর উৎপাদিত টিকার অর্ধেকেরও বেশি ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করে রেখেছে ধনী দেশগুলো, যাদের জনসংখ্যার হার বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৩ শতাংশ। ইয়ন/এনডিটিভি
[৩]৫টি সম্ভাব্য টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্লেষণী সংস্থা এয়ারফিনিটি।
[৪]অক্সফার্ম বলছে, এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য পাঁচটি টিকার জন্য ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডোজ গ্রহণের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, জাপান, সুইজারল্যান্ড ও ইসরায়েলের মতো উন্নত দেশগুলোতে যাচ্ছে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডোজ। বাকী থাকা ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডোজ পাচ্ছে বাংলাদেশ, ব্রাজিল আর চীনের মতো দেশগুলো।
[৫]অক্সফাম আমেরিকার প্রধান রবার্ট সিলভারম্যান বলেন, ‘কোভিড-১৯ বিশ্বের প্রতিটি স্থানেই আঘাত হেনেছে। আপনি কোথায় বাস করেন এবং আপনার কি পরিমাণ অর্থ রয়েছে এর ওপর ভিত্তি করে জীবন রক্ষাকারী টিকার সুযোগ পাওয়া উচিত নয়। একটি কার্যকরী ও সুরক্ষামূলক টিকার উন্নয়ন এবং হালানাগাদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সেই সঙ্গে এই টিকাকে সকলের জন্য সহজলভ্য করাটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ’
[৬] মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার সংস্থাটি জানায়, ‘ধনী দেশগুলোর টিকা কুক্ষিগত করার আগাম চুক্তির কারণে ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ মূলক বিপদজনক প্রবণতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে দরিদ্র দেশগুলোর জনগণের জন্য ভ্যাকসিন সহজে সহজলভ্য হবে না।’
[৭]বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারী মহা-পরিচালক ড. মারিয়াঞ্জেলা সিমাও বলেন, ‘আমাদেরকে ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে হবে।’
[৮] ইউনিসেফ জানিয়েছে, তারা নিম্ন ও নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশগুলোর জন্য কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনা ও সরবারাহের কাজে নেতৃত্ব দেবে । এই প্রকল্পের আওতায় যুক্ত দেশগুলো মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশ হারে প্রথম পর্যায়ে উৎপাদিত টিকার ডোজ পাবে।
[৯]বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যঅনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ১৮০টি করোনার টিকার মধ্যে ৩৫টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আছে। নয়টির চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে।